ভরদুপুরে এক যুবতীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা। যদিও, বরাতজোরে বেঁচে যান তিনি পরে জানা গেল, বিবাহবিচ্ছেদ মামলা দায়ের করার রাগেই যুবতীকে হত্যা করতে সুপারি কিলার নিয়োগ করেছে তাঁরই স্বামী। কুশল দাস নামে যুবতীর অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-আপত্তিকর অবস্থায় যুবকের সঙ্গে গৃহবধূ, গাছে বেঁধে বিয়ে দিল গণ আদালত
এ দিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার হাসপাতালপাড়া এলাকার রামমোহন চিলড্রেনস অ্যাকাডেমির সামনে। ব্যস্ত রাস্তায় এভাবে গুলি চালনার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসলামপুর স্টেট ফার্ম কলোনির বাসিন্দা ওই যুবতী স্কুটি চালিয়ে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে যাচ্ছিলেন। আচমকাই মাঝরাস্তায় মোটরবাইকে চেপে আসা তিন দুস্কৃতী ওই যুবতীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। যদিও, ওই যুবতী বা অন্য কারও গায়ে সেই গুলি লাগেনি। এর পরেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবতীর সঙ্গে কুশল দাস নামে ইসলামপুরের এক ব্যবসায়ীর বিয়ে হয়েছিল। পরে ওই যুবতী জানতে পারেন, ওই ব্যাবসায়ীর আগে থেকেই একজন স্ত্রী ও একটি শিশুসন্তান রয়েছে। এর পরেই ইসলামপুর মহকুমা আদালতে ওই যুবতী প্রতারণার মামলা দায়ের করেন এবং বিবাহবিচ্ছেদের জন্যও আবেদনও করেন। এ দিন সেই মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনেই ওই যুবতী এবং তাঁর দাদা ও তাঁর দাদা আদালতে তাঁদের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। আদালতে যাওয়ার পথেই হাসপাতাল পাড়া এলাকায় ওই যুবতীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুস্কৃতীরা।
যুবতীর সঙ্গে কথা বলার পরই তাঁর স্বামী কুশল দাসকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, স্ত্রীর উপরে রাগ থেকেই সুপারি কিলার লাগিয়ে ওই হামলা চালিয়েছে তাঁর স্বামী। ধৃতকে জেরা করে হামলাকারীদের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।