সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ঘটনা
- গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের আপত্তিকর সম্পর্কের অভিযোগ
- গ্রামেই বসানো হল গণ আদালত
- জোর করে বিয়ে দেওয়া হল দু' জনের
শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর: গৃহবধূর সঙ্গে গ্রামেরই এক যুবকের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ। গণআদালত বসিয়ে দু' জনকে গাছে বেঁধে রেখে জোর করে বিয়ে দেওয়া হল। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ধসাচাঁদপুরে।
আরও পড়ুন- এক ছাত্রীকে দেখেই পর পর অসুস্থ অন্যরা, বাঁকুড়ার স্কুলে রহস্য
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পাঁজাপাড়া গ্রামের ওই গৃহবধূ এবং যুবক দু' জনেই প্রতিবেশী। দুই পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্কও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই গৃহবধূর স্বামী বাইরে থাকেন। যুবকটিও অবিবাহিত। সে নিজেও অন্য রাজ্যে সোনার কাজ করেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরেছেন। সেই সুযোগেই দু' জনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁদের দু' জনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলা হয় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর পরেই দু' জনকে গাছে বেঁধে রেখে গণআদালত বসানো হয়। সেখানেই নিদান দেওয়া হয়, ওই দু' জনকে বিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- গুলি গিলে ফেললেন রায়গঞ্জের সরকারি কর্মী, পেট থেকে উদ্ধার করল পুলিশ
গৃহবধূ এবং ওই যুবককে গাছে বেঁধেই দীর্ঘক্ষণ হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহও করা হয়। এর পরে একরকম জোর করেই মালাবদল করে বিয়ে দেওয়া হয় দু' জনের। দীর্ঘক্ষণ ধরে গ্রামের মধ্যে এই কাণ্ড চললেও দেখা মেলেনি পুলিশের।
ওই গৃহবধূ এবং যুবকের পরিবারের অবশ্য দাবি, গোটাটাই ষড়যন্ত্র। দু' জনের মধ্যে কোনও আপত্তিকর সম্পর্কই ছিল না। যদিও, এই দাবি অস্বীকার মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা। তাঁদের পাল্টা দাবি, ওই গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের দীর্ঘদিন ধরেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। যুবকের মোবাইলে দু' জনের ঘনিষ্ঠ ছবিও পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের।