মদখেয়ে মৃত্যুর ঘটনার ক্রমতালিকায় এই রাজ্যের নাম অনেকটা ওপর দিকে রয়েছে। কিন্তু তা বিষমদ নিয়ে এই রাজ্যের প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিষমদকাণ্ডে এই রাজ্যে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। বর্ধমান জেলায় গত সপ্তাহে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি। জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া অবধি তারা কিছুই বলতে পারবে না। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার বিষমদকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এই রাজ্যে।
মদখেয়ে মৃত্যুর ঘটনার ক্রমতালিকায় এই রাজ্যের নাম অনেকটা ওপর দিকে রয়েছে। কিন্তু তা বিষমদ নিয়ে এই রাজ্যের প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ সম্প্রতি এই বিষয় তিনি তথ্যের অধিকার আইনে রাজ্য সরকারের থেকে একাধিক বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন আইনজীবী ও সমাজকর্মী বিশ্বনাখ গোস্বামী। তবে তিনি কোনও স্পষ্ট উত্তর পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন।
বিশ্বনাথ গোস্বামী ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত অবৈধ ও বিষমদ খাওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কতজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার তথ্য চেয়েছিলেন। তিনি প্রতিবছরের হিসেব চেয়েছিবেন রাজ্যের থেকে। পাশাপাশি বিষমদকাণ্ডে দাখিল করা চার্জশিট, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনা ও যারা যারা খালাস পেয়েছে তাদের বিস্তারিত তথ্যও জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রশ্নের কোনও উত্তর তিনি পাননি। তবে বিশ্বনাথ গোস্বামী জানিয়েছেন ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি তাঁর প্রশ্ন স্থানান্তর করা হয়েছে এক ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশের পদমর্যাদার রাজ্য পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের দফতরে। পাশাপাশি প্রশ্নটি তথ্যের অধিকার আইনের ৬(৩) ধারা অনুসারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট আগের বিভাগের কাছে এই বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য ছিল না।
বিশ্বনাথ গোস্বামীর আরও অভিযোগ, তাঁকে আবগারি দফতর কোনও তথ্য দিতে অস্বীকার করেছে। ২০২১ সালের ৪ অগাস্ট তাঁকে জানান হয়েছিল আবগারি অধিদফতর বা তার অধীনস্ত অফিসগুলি বিষাক্ত মদ খেয়ে কোনো মানুষের মৃত্যু হয়েছে কিনা তার তথ্য রাখে না বা বিষয়টি দেখে না। তিনি আরও বলেছেন বারবার জানান সত্ত্বেও রাজ্য পুলিশ ও আবগারি দফতর তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও সহযোগিতা করেনি। তিনি জানিয়েছেন এতদিন ধরে চেয়েও তিনি কোনও তথ্য হাতে পাননি।
যদিও অন্যান্য রাজগুলি এজাতীয় অপরাধ রেকর্ড করে রেখেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ গত দুই বছর এই বিষয়ে কোনও তথ্য দেয়নি। আইনজীবী জানিয়েছেন মদ সম্পর্কিত মৃত্যুগুলি এনসিআরবি দ্বারা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর একটি পৃথক বিভাগ হিসেবে বিবেচিত হয়। আরটিআই কর্মী আরও জানিয়েছেন, সংগ্রামপুর ও শান্তিপুর বিষমদকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুধুমাত্র তদন্ত করেছে এমনটা নয়। এই ঘটনায় প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে। তাই রাজ্যের হাতে তথ্য নেই এই ঘটনা কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
সময় উপযোগী একটি আইন কাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে, সাইবার সুরক্ষা নিয়ে বললেন রাজীব চন্দ্রশেখর
ঋষি সুনক-অক্ষতা মূর্তির প্রেম কাহিনি, পার হতে হয়েছিল অনেক কাঁটা বিছান পথ
আজ থেকে বিনামূল্যে ৭৫ দিনের বুস্টার ডোজ অভিযান কর্মসূচি , কোভিড রুখতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের