'গল্প সাজিয়েছে পুলিশ', সিবিআই তদন্তের দাবি নিহত শিক্ষকের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের

  • মুর্শিদাবাদ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে খুশি নন নিহত শিক্ষকের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা
  • পুলিশি তদন্তে একাধিক অসংগতি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা
  • সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন বিউটি মণ্ডলের বাপের বাড়ির লোকেরা
  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কাছে দরবার করবেন, জানিয়েছে বিউটির বাবা

জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের কিনারা করে ফেলেছে পুলিশ। ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্তও।  জেরায় সে অপরাধ স্বীকার করেছে বলেও দাবি করেছেন খোদ মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার।  কিন্তু পুলিশি তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে খুশি নন নিহত শিক্ষক  বন্ধুপ্রকাশ পালের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁদের বক্তব্য, মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহারার একার পক্ষে তিনজনকে খুন করা কখনই সম্ভব নয়। পুলিশের তদন্তে অসঙ্গতি রয়েছে।  ঘটনার সিবিআই তদন্তের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিহত শিক্ষকের স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকেরা।

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে রহস্যের পর্দাফাঁস করেছে পুলিশ।  সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির সাহাপুর গ্রাম থেকে পুলিশ উৎপল বেহরা নামে এক রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করেছে। জেলার পুলিশ সুপার শ্রী মুকেশ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এই উৎপলই। জেরায় বন্ধুবিকাশ পাল, তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী বিউটি ও শিশুপুত্রকে খুনের কথা স্বীকারও করেছে সে। অর্থলগ্নি সংস্থা ২৫ হাজার টাকা লগ্নি করা নিয়ে উৎপলের সঙ্গে বন্ধুবিকাশের সঙ্গে উৎপলের বিবাদ চলছিল। টাকা না পেয়ে তাকে বেশ কয়েকবার অপমানও করেন নিহত শিক্ষক। সেই আক্রোশেই  উৎপল একাই হাঁসুয়ার কোপে পাল পরিবারের তিনজনকে খুন করেছে।  কিন্তু খোদ পুলিশ সুপারের বক্তব্যকে মানতে নারাজ বন্ধুবিকাশ পালের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বরং তদন্তে একাধিক অসংগতিও খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।
 
নিহত শিক্ষক বন্ধুবিকাশ পালের শ্যালক সাক্ষীগোপাল মণ্ডলের বক্তব্য, 'আমাদের পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে তদন্ত করেছে পুলিশ। ঘটনার পর প্রথম যেদিন দিদির বাড়ি যাই, সেদিন পুলিশ বলেছিল, বাড়ির পাশে কাঁটাতারের বেড়ায় এক টুকরো মাংসপিণ্ড লেগেছিল।  সে বিষয়ে এখন আর কিছু বলছেন না তদন্তকারীরা। তাঁর আরও সংযোজন, 'বলা হচ্ছে, দরজা খোলামাত্রই জামাইবাবুকে পিছন থেকে আক্রমণ করে উৎপল। জামাইবাবু সেখানেই পড়ে যান। এরপর দিদি ও ভাগ্নেকে খুন করা হয়। তাহলে দিদি-জামাইবাবুর দেহ খাটে তুলল কে?  দরজার কাছে রক্তের দাগই বা ছিল না কেন?'  নিহত শিক্ষকের শ্যালকের সাফ কথা, 'প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে গল্প সাজিয়েছে পুলিশ। '  আর বন্ধুবিকাশ পালের শ্বশুর সুখেন মণ্ডল বলেন, 'অভিযুক্ত উৎপল বেহরার আগে কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই। তাহলে সে কি করে পেশাদার খুনের কায়দায় একসঙ্গে তিনজনকে খুন করে পালিয়ে গেল? পুলিশ আসল ঘটনা আড়াল করছে, আমরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব'।  শুধু নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই নন, পুলিশের তদন্তে খুশি নন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

Latest Videos

Share this article
click me!

Latest Videos

‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি
Nadia-এ ডাম্পিং গ্রউন্ড ঘিরে বিতর্ক! থানায় আটক বিজেপি বিধায়ক! দেখুন | Nadia News Today