অপমান করলেন অনুব্রত, মুখের উপর জবাব দিয়ে রাজনীতি ছাড়লেন তৃণমূল কাউন্সিলর

Published : Jun 29, 2019, 02:13 PM ISTUpdated : Jun 29, 2019, 02:14 PM IST
অপমান করলেন অনুব্রত, মুখের উপর জবাব দিয়ে রাজনীতি ছাড়লেন তৃণমূল কাউন্সিলর

সংক্ষিপ্ত

পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার ঘটনা কর্মিসভায় অনু্ব্রতর সঙ্গে বচসা তৃণমূল কাউন্সিলরের দল ছাড়তে বললেন অনুব্রত পাল্টা জবাব দিয়ে রাজনীতি ত্যাগ তৃণমূল কাউন্সিলরের  

দলনেত্রী বার বার পুরনো নেতাদের সম্মান দিয়ে দলে ফেরানোর নির্দেশ দিচ্ছেন। সেখানে খোদ বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কথায় 'অপমানিত' বোধ করে দল ছাড়লেন কুড়ি বছরের তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর অবশ্য দাবি, তৃণমূল ছাড়লেও অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন না তিনি। অভিমানে রাজনীতিই ছেড়ে দিচ্ছেন গুসকরা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মল্লিকা চোঙদার। 

শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের বিল্বগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভা ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা আউসগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। সভা শেষ হওয়ার পর মল্লিকা চোঙদার অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। মল্লিকাদেবীর অভিযোগ, তখনই অনুব্রত তাঁকে বলেন, 'তোকে আর দল করতে হবে না।'

আরও পড়ুন- কেস্টার ভাই বিজেপি-তে, ভাই থাকার কথা অস্বীকার অনুব্রতর

গুসকরা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৫ বছর কাউন্সিলর নির্বাচিত হন মল্লিকাদেবী। বর্তমানে তিনি গুসকরার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। দলের জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলে রয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কয়েকদিন আগে গুসকরায় তৃণমূলের দুই কর্মী বিজেপি-র হাতে আক্রান্ত হন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও কোনও তৃণমূল নেতাই তাঁদের খোঁজও নিতে যাননি। বিষয়টি নিয়ে কর্মিসভায় অনুব্রতকে প্রশ্ন করতেই বচসার সূত্রপাত বলে দাবি মল্লিকাদেবীর। তার পরেই অনুব্রত তাঁকে দল ছাড়তে বলেন। 

মল্লিকাদেবী পরে বলেন, 'উনি আমায় দল ছাড়তে বলায় আমি ওনাকে প্রশ্ন করলাম, দলটা কি তোমার না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? দলের খারাপ সময় থেকে আমরা দলের সঙ্গে আছি। দলকে অনেক কিছু দিলেও বিনিময়ে কিছু নিইনি। আজকে দলের এই কঠিন সময়ে কীভাবে উনি পুরনো একজন কাউন্সিলরকে এমন কথা বলতে পারেন? আমি সম্মানের সঙ্গে দল করেছি, সম্মানের সঙ্গেই ছেড়ে দিচ্ছি। তবে তৃণমূল ছাড়লেও অন্য কোনও দলে যাচ্ছি না।'

মল্লিকাদেবী আরও প্রশ্ন করেন, অনুব্রত মণ্ডল নিজে একাধিক দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু সাধারণ কর্মী, সমর্থকদের নিরাপত্তা কোথায়, তাঁরা আক্রান্ত হলে কেনই বা তাঁদের দেখতে যাবেন না দলের নেতারা। দলের নেতাদের ঔদ্ধত্যের জন্যই আজ তৃণমূলের এই অবস্থা বলেও সরব হন মল্লিকাদেবী।

  

PREV
click me!

Recommended Stories

আমি সব দিক থেকে বাঙালি হতে চাই: কেন এমন কথা বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
'বাংলায় বাবরি মসজিদ হতে দেব না' উলুবেড়িয়া থেকে হুমায়ুনকে চরম বার্তা শুভেন্দুর