জেএনইউ-এর ঘটনা নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর ফ্যাসিস্ট মন্তব্য়ের জবাব দিয়েছিলেন সকালেই। এবার এই ঘটনার জন্য বামেদেরও বিঁধতে ছাড়লেন না দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য় সভাপতি বলেন,হাতে ইস্যু নেই- প্রচারের নজর কাড়তেই বিশ্ববিদ্য়ালয়ে এই ঘটনা। মানুষ মুখ্য়মন্ত্রী,বামেদের চিনে গেছে।
সিএএ নিয়ে রাজ্য়বাসীর ঘরে ঘরে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। এদিন সেই প্রচার অভিযানে কৃষ্ণনগরে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে জেএনইউ-এর ঘটনা নিয়ে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন,এটা পুরোপুরি গট-আপ গেম। এরা বেঁচে থাকার জন্য ইস্যু তৈরি করে। নিজেরাই মারামারি করে। এই বিষয়টা ইউনিভার্সিটির ব্যাপার, প্রশাসন বিষয়টা দেখবে। এই বলেই থেমে থাকেননি দিলীপবাবু। মুখ্যমন্ত্রীর ফ্যাসিবাদী সার্জিক্যাল স্টাইক মন্তব্যেরও উত্তর দেন তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, উনি কি বলেন আমরা জানি। ওনার মাথার ঠিক নেই। ফ্যাসিবাদ তো পশ্চিমবঙ্গে চলছে।
আজ দুপুরে নদীয়ার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি থেকে কালেক্টরেট পর্যন্ত অভিনন্দন যাত্রা করে বিজেপি। সেখানে জনসাদারণের কাছে রাজ্য়ে কেন সিএএ দরকার তা বোঝান দিলীপবাবু। পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, বিল প্রসঙ্গে কারা মিথ্যা প্রচার করে সারা দেশে আগুন জ্বালাচ্ছে তাদের চিনে রাখতে। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীদের উনি বলেন, ওরা ভ্যাওতাবাজ। মানুষ ওদের বুঝে গেছে। ভারতের বিরুদ্ধে যে কথা বললে তাদের আমরা পাকিস্তানি বলবো।
সোমবার জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনাকে পড়ুয়াদের উপরে ফ্যাসিস্ট হামলা বলে সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতাকে কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন, যাদবপুরে বাবুল সুপ্রিয়র উপরে হামলা সময় কেন চুপ করে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
জেএনইউ-তে বহিরাগতদের হামলার সমালোচনা করে রবিবার রাতেই টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জেএনইউ- এর ঘটনাকে গণতন্ত্রের লজ্জা বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ দিন ফের একবার হাওড়ার ডুমুরজোলায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেএনইউ-এর এই হামলা আসলে ছাত্রদের উপরে ফ্যাসিস্ট আক্রমণ। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সমস্ত নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপি শাসিত লখনউ-তেও ছাত্র আন্দোলন হচ্ছে বলে উদাহরণ দেন মুখ্যমন্ত্রী।