'দলত্যাগ আইন লোকসভার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য', এবার ঘুরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আইন দেখালেন বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন,'সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলের মহিলা সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।'
রবিবার বারাসত মহিলা তৃনমুল কংগ্রেসের রক্তদান শিবিরে এসে তিনি বলেছেন, 'দলত্যাগ আইন শুধু রাজ্যেই নয়-লোকসভার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য'। তাঁর দাবী শুধু রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় নয়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া বহু নেতাই দলে ফিরতে চাইছে। উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও বহু আবেদন জমা পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই সব ক্ষেত্রেই নেত্রী ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর করে দেখাব। তাতে কয়েক মাস লাগতে পারে। তাতে আইন মেনে দল ত্যাগ করতে হবে। আমি শুভেন্দু অধিকারী, সমস্ত কিছু ছেড়ে সাধারণ ভোটার হিসেবে বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম। সেভাবে যদি কেউ যায়, তাহলে যেতে পারে। কিন্তু এখানে অন্য দলের বিধায়ক তৃণমূলের খাতায়। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা যে আইনের উর্ধ্বে নয় তা প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমার রয়েছে। ইতিমধ্যেই সে কাজ করতে আমি কেন্দ্রের আইন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। পদ্ধতিগত কাজ শুরু হয়েছে।'
আরও পড়ুন, কমছে কোভিড, লকডাউন নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত জানাতে পারে নবান্ন, কী কী ছাড় দিতে পারেন মমতা
উল্লেখ্য,বারাসাতে সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব পেয়ে সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানালেন সাংসদ। তিনি বলছেন, ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছি। এরপর সাংসদ হিসেবে দিল্লি যাওয়ার পরে অন্যান্য রাজ্যেও তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস এর শাখা সংগঠন তৈরি হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আমাকে বৃহৎ দায়িত্ব দিয়েছেন। মানুষের স্বার্থে কাজ এই সংগঠনকে আরও বৃহৎ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মহিলা সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।