ডাবগ্ৰাম ফুল বাড়ির বিজেপি বিধায়িকা বলেন 'মহুয়া মৈত্র ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। মা কালীকে অপমান করার জন্যই এমন বক্তব্য রাখা হয়েছে। বর্তমানে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলছে এবং সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে। পুলিশ ঠিকমতো কাজ করছে না।'
মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে মহুয়া পোস্টারে সিগারেট হাতে কালী বিতর্কে নিজের মন্তব্য জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছেলিনে, কালীর এই পোস্টারে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কারণ শাক্তমতে কালী পুজোর এমন কিছু আচর রয়েছে যার সঙ্গে এই পোস্টারের সাদৃশ্য রয়েছে। মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেছেন যে কালী, তাঁর কাছে একজন মাংসভোজী, মদ গ্রহণকারী দেবী। দেবী কালীকে যে কোনও মানুষই তাঁর নিজের মত করে কল্পনা করতে পারে। কথা প্রসঙ্গে তিনি তারাপীঠের পুজোর কথাও উল্লেখ করেছে। বলেছেন সেখানে কালীপুজো ব্যবহার করা মদ। তবে মহুয়া মৈত্রের এই মন্তব্যে রীতিমত বেগ পেতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
মহুয়ার এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষন করেনি তাঁর দল তৃণমূল। এমনকি দলের তরফে মহুয়ার মন্তব্যের নিন্দাও করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মহুয়া মৈত্রের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে গেরুয়া শিবির। রবিবার শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার অন্তর্গত আশিঘর ফাঁড়তে ডাবগ্ৰাম ফুল বাড়ির বিজেপি বিধায়িকা শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপি কর্মীরা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ডাবগ্ৰাম ফুল বাড়ির বিজেপি বিধায়িকা বলেন 'মহুয়া মৈত্র ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। মা কালীকে অপমান করার জন্যই এমন বক্তব্য রাখা হয়েছে। বর্তমানে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলছে এবং সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে। পুলিশ ঠিকমতো কাজ করছে না।' তিনি আরো বলেন 'এই অবস্থায় মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করার অধিকার কারও নেই। মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতাকে বাড়িয়ে তুলবে।' তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি আশিঘর ফাঁড়িতে রবিবার একটি মামলা দায়ের করা হয়।
রামপুরহাটেও 'ভাইপো অভিষেক' কাঁটা, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে তৃণমূলে বিতর্ক
সিগারেট হাতে কালী- মহুয়ার মন্তব্যের দায় নিল না তৃণমূল, দিলীপ বললেন হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে
রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন- এই মন্তব্যের জবাবে রাজ্যপাল পদই তুলে দেওয়ার দাবি সৌগত রায়ের
সিগারেট হাতে কালীর পোস্টার ইস্যু নিজের মত জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কিন্তু তাঁর মন্তব্যের পর তাঁর পাশে থাকেনি দল। রীতিমত হাতগুটিয়ে নিয়ে তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে এই মন্তব্য মহুয়ার ব্যক্তিগত। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। তৃণমূলের বিরোধী রাজনৈতি দলও এবার মহুয়া মৈত্রের বিরোধিতায় সামিল হয়ে। বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহুয়া মৈত্রকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। মহুয়া মৈত্রকে গ্রেফতারের জন্য তিনি কলকাতা পুলিশকে ১০ দিন সময়সীমা বেঁধেও দিয়েছেন। মহুয়া মৈত্রকে গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা পুলিশকে। তাঁর দাবি দ্রুত গ্রেফতার করা হোক মহুয়াকে।