সংক্ষিপ্ত
পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ল্যাবরেটরিতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যপাল সেই সঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী মানুষ প্রতিবাদ করুন, সময় এসেছে মুখ খোলার। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়।
বাংলার গণতন্ত্র বিপন্ন। এই পরিস্থিতি আগে কখনও তৈরি হয়নি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়েএমনই মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি আরও বলেন গণতন্ত্রের বিপদ হচ্ছে তোষণের রাজনীতিতে। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ল্যাবরেটরিতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যপাল সেই সঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী মানুষ প্রতিবাদ করুন, সময় এসেছে মুখ খোলার। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি রাজ্যপালের পদ তুলে দেওয়ার দাবি জানান।
এটাই প্রথম নয় গতকাল একটি অনুষ্ঠানে গিয়েও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস থেকে শুরু করে রাজ্যের একের পর হিংসার ঘটনা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করেন। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ ছিল সংবিধান মেনে এই রাজ্যে শাসনকাজ চলছে না। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন এই রাজ্যে গুরুত্ব দেওয়া হয় না লোকাইতকেও।
এদিন সৌগত রায় আবারও তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যপালের। তিনি বলেন উনি থাকছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন বাংলায় গণতন্ত্র রয়েছে। রাজ্যপাল গণতন্ত্র সম্পর্কে অনেক কথা বললেও তা সঠিক নয়। তিনি বলেছেন রাজ্যপাল যেভাবে নির্বাচিত সরকার সম্পর্কে কথা বলেন তাও ঠিক নয়। তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে 'সাদা হাতি পোষার তুলনা করেন।' পাশাপাশি রাজ্যপাল পদের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও জানান। বলেন রাজ্যপাল পদতা তুলে দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করতে পারেন । রাজ্যপাল যেহেতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন সেই জন্য সৌগত রায়ও বলেন, রাজ্যপাল পদ তুলে দিলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মত শিক্ষাবিদ মানুষ খুশি হতেন। সৌগত রায়ও রাজ্যপালের মত বুদ্ধিজীবিদের আসরে নেমে প্রতিবাদ করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্প্রতি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আরাও সংঘাতের পথে রাজ্য ও রাজ্যপাল। কারণ সম্প্রতি আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু তা মানতে নারাজ রাজ্য। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে। পাল্টা বিবৃতি জারি করেছেন রাজ্যপালও। সবমিলিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
নূপুর শর্মার মাথা কেটে ফেলার হুমকি, রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার আজমেঢ় দরগার ধর্মগুরু
তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল আনফলো করলেন মহুয়া, সিগারেট হাতে কালী বিতর্কের আঁচ ঘাসফুল শিবিরে