মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের কিংপিন সালাউদ্দিন সালাহিনের ঘনিষ্ঠ আবদুল করিম

  • আগাম ব্লুপ্রিন্ট বানিয়ে কলকাতা এসটিএফ মুর্শিদাবাদে
  •  পুলিশের সাথে যৌথ অভিযান গ্রেফতার  সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ
  •  খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড সালাহিনের ঘনিষ্ঠ এই আবদুল
  • মুর্শিদাবাদের সুতির কাশিমনগর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার
  •  

Asianet News Bangla | Published : May 29, 2020 10:51 AM IST

আগাম ব্লুপ্রিন্ট বানিয়ে কলকাতা এসটিএফ মুর্শিদাবাদ পুলিশের সাথে যৌথ অভিযান চালিয়ে খাগড়াগড়  বিস্ফোরণ  কাণ্ডের  অন্যতম কিংপিন জেএমবি’র প্রধান সালাউদ্দিন সালাহিনের ঘনিষ্ঠ আবদুল করিম। মুর্শিদাবাদের সুতির কাশিমনগর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত তিনটে নাগাদ তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। এই খবর চাউর হতেই জেলা জুড়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। 

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র অন্যতম পাণ্ডা আবদুল করিম ওরফে বড় করিমকে গ্রেফতার করার জন্য জাল বিস্তার করছিল এসটিএফ কর্তারা। সেইমতো গোপন সূত্রে খবর পেয়ে স্পেশাল টাস্কফোর্স কলকাতা থেকে এসে রাতভর অভিযান চালিয়ে আত্মীয়র বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকা ওই কুখ্যাত জঙ্গিনেতাকে গ্রেফতার করে বলেই এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে। 

বর্ধমান খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের পিছনে রয়েছে জেএমবি। সংগঠনের একাধিক সদস্য এর আগে গ্রেফতার হয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে। সেক্ষেত্রে জেএমবি’র প্রধান সালাউদ্দিন সালাহিনের ঘনিষ্ঠ এই আবদুল করিম মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান মডিউলের দায়িত্বের প্রধান ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, তাকে জেরা করে সালাউদ্দিনের নাগাল পাওয়া এবার অনেক সহজ হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি, কাগজপত্র মিলেছে।

জেএমবি মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান মডিউল তৈরির সময়ও জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগের পদ্ধতি করিমের নখদর্পণে। ফলে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, সালাউদ্দিনের সঙ্গে মিলে নতুন কোন নাশকতার ছক কষে জেএমবি ফের কোনও নতুন মডিউলের কাজে হাত দিয়েছে কি না। উল্লেখ্য, এই রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কয়েকটি জায়গায় ফের কার্যকলাপ শুরু করেছে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি।  

এদিকে আব্দুল করিম গ্রেফতার হতেই তার শামশেরগঞ্জের চাঁদনিদহ এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দেয় প্রতিবেশীদের মধ্যে। তারা জানান, সম্প্রতি বছরখানেক ধরে আব্দুল বাংলাদেশ থেকে মুর্শিদাবাদে আত্মগোপন করে তার আত্মীয়ের বাড়িতে দফায় দফায় ডেরা বদল করছিল। ফলে তার সঙ্গে আর কেউ মদত দার রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত গোয়েন্দাদের"। পুরো বিষয়ে জেলার এক উচ্চ পুলিশকর্তা বলেন," আমরাও আমাদের সোর্স মতো এলাকায় আব্দুল করিম ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের গতিবিধির ওপর নজর রেখেছি তেমন কিছু সন্দেহজনক মিললে এসটিএফকে জানানো হবে "।

Share this article
click me!