'জৌলুস' হারাল মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো, প্রণবের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মিরিটি

  • পুজোর সময়ে চলে আসতেন পৈতৃক বাড়িতে
  • ঘট ভরতে নদীতে যেতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়
  • চারদিন ধরে চণ্ডীপাঠ করতেন দুর্গামণ্ডপে
  • প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মিরিটি 

Asianet News Bangla | Published : Aug 31, 2020 3:16 PM IST / Updated: Sep 01 2020, 03:02 PM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম:  মৃত্যুঞ্জয় যোগ করেও শেষরক্ষা হল না। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মভিটে, বীরভূমের কীর্ণাহারের মিরিটি গ্রামে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মিও। 

আরও পড়ুন:এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন হল, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রয়াণে শোকবার্তা প্রদীপ-মানসের

কেন্দ্রে তখন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। বিদেশ, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। রাজনৈতিক জীবনের সায়াহ্নে রাষ্ট্রপতি হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। বীরভূমের মিরিটি গ্রামে অবশ্য সকলে তাঁকে পলটু নামেই চিনতেন। প্রতিবছর নিয়ম করে গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে দুর্গাপুজোয় অংশ নিতেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এমনকী রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেও সেই নিয়মে ছেদ পড়েনি। ষষ্ঠীর দিনে দিল্লি থেকে চলে আসতেন পরোটা গ্রামে, দিদির বাড়িতে। সপ্তমীর সকালে ধূতি ও উত্তরীয় পরে কুঁয়ে নদীতে ঘট ভরতে যেতেন প্রণববাবু। টানা চারদিন বাড়ির দুর্গামণ্ডপ করতেন চণ্ডীপাঠ। 

 প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়, দেখুন ভিডিও স্টোরি- 

 

১৮৯৬ সালে মিরিটি মুখোপাধ্যায় বাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন ঠাকুর্দা তারকনাথ মুখোপাধ্যায়। বাবার মৃত্যুর পর ১৯৫৬ সাল থেকে পুজো দায়িত্ব নেন প্রণববাবু। পুজোর সময়ে মিরিটির বিখ্যাত বাড়িটির দ্বার থাকত অবারিত। স্রেফ কংগ্রসই নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আনাগোনা লেগে থাকত। প্রণব মুখোপাধ্য়ায়ের ভাগ্নে অতনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন,  'মামা প্রতিবছর পুজোর আগের দিন আমাদের বাড়িতে আসতেন। বাড়ির বাইরে মাকে প্রণাম করে তবেই বাড়ির ভিতর ঢুকতেন। মামার জন্য একটা কাঠের বিশেষ চেয়ার ছিল। সেখানেই বসে পরিবারের সকলের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। তারপর মিরিটি গিয়ে পুজোর তদারকি করতেন।' সেসবই এখন শুধু সুখস্মৃতি!

আরও পড়ুন: 'এ ম্যান অফ অল সেশনস'- এই নামেই ডাকা হত প্রণব মুখোপাধ্যায়-কে, জানুন সেই কাহিনি

দিল্লিতে সেনা হাসপাতালে যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তখন গ্রামে ছেলের আরোগ্য কামনায় মিরাটি মৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, 'আমার সঙ্গে প্রণববাবুর পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন। প্রতিবছর পুজোর চারদিন আমি তাঁর পাশে পাশে থাকতাম। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর নবমী কিংবা দশমীর দিন ফিরে গিয়ে রামলীলা ময়দানে দশেরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন।' একসময়ে বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন জিম্মি। পরে দলবদল করে যোগ দেন তৃণমূলে।

প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়, দেখুন ভিডিও স্টোরি-

Share this article
click me!