হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকায় হিমোগ্লোবিনে মাত্রা স্বাভাবিক রাখা জরুরি। দেওয়া হচ্ছে রক্ত।
কেমন আছেন প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী তথা সিপিআই(এম) নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানাল উডল্যান্ড হাসপাতাল কর্তপক্ষ। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে তাঁর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভিবিকের তুলনা কিছুতা কম রয়েছে। সেই কারণে তাঁকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বুদ্ধদেবের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকায় হিমোগ্লোবিনে মাত্রা স্বাভাবিক রাখা জরুরি। তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত তাঁকে এক ইউনিট রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। সন্ধ্য়েবেলা থেকে শুরু হয়েছে সেই প্রক্রিয়া।
সোমবারের মত মঙ্গলবারও বুদ্ধেদেব ভট্টাচার্যকে রাইলস টিউব দিয়ে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় কড়া অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ দিনে তা চলবে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। হাসপাতাল সূত্রের খবর এদিন বুদ্ধবাবু চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। হাসপাতালে রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রয়েছেন সিপিআই(এম)এর বেশ কয়েকজন নেতাও।
সোমবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, 'উনি হাত নেড়েছেন। ওঁর জ্ঞান রয়েছে। আমার দেখে মনে হল এখন অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন। ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনা হয়েছে বাইপ্যাপ সাপোর্ট চলছে। তবে আমি চিকিৎসক নই। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।' সোমবারই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনা হয়েছিল। তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
শনিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে রীতিমত সংকটজনক অবস্থায় গ্রিন করিডোর করে পাম অ্যাভেনিউ থেকে উডল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তাঁর রক্তে সংক্রমণের মাত্র ৯০ এর নিচে নেমে গিয়েছিল। শ্বাসকষ্টের প্রবল সমস্যা ছিল। শনিবার রাতেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রবিবারও ভেন্টিলেশনে ছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিওপিডি সমস্যা রয়েছে। ২০২১ সালে তিনি করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছিলষ সেই সময় শারীরিক অবস্থান অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতেই থাকতেন। দলের কর্মসূচিতেও সামিল হতে না তিনি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও একমাত্র সন্তান সুচেতনা। এদিন দলের প্রথম সারিক নেতা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব হাসপাতালে ছিলেন। সূর্যকান্ত মিশ্র মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন।