
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি মুক্ত হোক। রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে এমনটাই বলল, কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। যা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এদিন মামলার শুনানি গয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দে-র ডিভিশন বেঞ্চে।
রাজ্যের আইনজীবী সওয়াল করেন, রাজ্যের একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। তা ছাড়া রাজ্যের কাজ শুধুমাত্র ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা। তারপরই ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করুক রাজ্য। তারপর বাকিটা দেখে নেবে আদালত। দুই সপ্তাহ পরে এই মামলাক পরবর্তী শুনানি।
এই অবস্থায় রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যে সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ ছাত্র সংগঠন বা সংসদ নেই অথবা সম্প্রতি ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সেখানে ছাত্র সংসদের কক্ষ বা স্টুডেন্ট ইউনিয়ন রুম তালাবদ্ধ করে রাখতে হবে। কোনও ছাত্র শুধুমাত্র রেজিস্ট্রার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া ইউনিয়ন রুমে প্রবেশ বা ব্যবহার করতে পারবে না। অনুমতি নিয়ে তবেই ছাত্ররা ইউনিয়ন রুম ব্যবহার করতে পারবে।
এর আগে গত মার্চ মাসে রাজ্যের কাছে এই বিষয়ে হলফনামা চেয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এ জন্য দু’সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে তারা কী ভাবনাচিন্তা করছে, তা জানাতে হবে রাজ্য সরকার এবং উচ্চশিক্ষা দফতরকে।