তীব্র গরমে লোডশেডিং রুখতে প্রয়োজন সচেতনতা। এমনটাই দাবি করছে সিইএসসি। তাই শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে এবার শহরবাসীর কাছে সচেতনভাবে বিদ্যুত ব্যবহারের আবেদন জানাচ্ছে সিইএসসি।
একদিকে গৃষ্মের দাবদাহ। প্রবল তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা। দিনের বেলায় বইছে লু। এই পরিস্থিতে উপড়ি সংযোজন লোডশেডিং। গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল কলকাতাবাসী। শহর এবং শহরতলীতে ঘন ঘন লোডশেডিং-এর ঘটনায় চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই উঠেছে একের পর এক অভিযোগ। এবার শহরবাসীর কাছে বিশেষ আবেদন করল সিইএসসি। তীব্র গরমে লোডশেডিং রুখতে প্রয়োজন সচেতনতা। এমনটাই দাবি করছে সিইএসসি। তাই শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে এবার শহরবাসীর কাছে সচেতনভাবে বিদ্যুত ব্যবহারের আবেদন জানাচ্ছে সিইএসসি।
মঙ্গলবার এই সংস্থার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই মর্মে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সে পোস্টেই সচেতনভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনিরোধ করা হয়েছে। এই পোস্টে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে,'গত কয়েকদিন ধরে শহরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি তাপমাত্রা। এই পরিস্থিতিতে আমাদের মূল্যবান গ্রাহকদের কাছে ইলেকট্রিকের জিনিসপত্র, যেমন পাখা, এসি ইত্যাদি সচেতনভাবে ব্যবহার করার অনুরোধ জানাচ্ছি। যাতে ইলেকট্রিক্যাল নেটওয়ার্কের উপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। মানুষকে ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আপনাদের সহযোগিতার প্রতিক্ষায় আছি।'
এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহেও দেখা নেই কালবৈশাখীর। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। এদিকে ক্রমশ চড়ছে শহরের তাপমাত্রা। ১৮ এপ্রিল, মঙ্গলবারও শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্যজুড়ে জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা। পাল্লা দিয়ে কড়া রোদের তাপও। দিনের বেলা বাড়ি থেকে বেরনো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান ৮৬ শতাংশ। । আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় চলবে তাপপ্রবাহ। সপ্তাহের শেষের দিকে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তবে চলতি সপ্তাহেও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রবল তাপপ্রবাহের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষজন। হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা এড়াতে প্রয়োজন ছাড়া বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর।