
ফের মৃত্যু করোনা আক্রান্তের। কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের। ৭৪ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধ আন্দুলের বাসিন্দা। সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হন ওই ব্যক্তি। আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রে খবর,
বৃদ্ধ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ছিল। সঙ্গে পার্কিনসন রোগে ভুগছিলেন। তাঁর সিটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ফুসফুস সাদা হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে ভেন্টিলেশনের সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটে নাগাদ মৃত্যু হয়। তবে, তাঁর মৃত্যুর কারণ কো মর্বিডিটি-ই।
এই নিয়ে শহরে গত এক মাসের মধ্যে করোনায় মৃত্যু হল তিন জনের। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যে এখনও একজনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ আছে। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ফের বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে ৭৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪১২ জন। এই আক্রান্তদের মধ্যে কলকাতা পুরসভাতেই ৩৭০ জনের করোনা পজিটিভ। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪১২ জন। অর্থাৎ, রাজ্যে আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই কলকাতার বাসিন্দা। আর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রবীণ ব্যক্তি। তবে, পুরসভার স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বাড়িতে সুস্ত হয়ে উঠছেন।
এদিকে গত বৃৃহস্পতিবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মত্যেু হয় ৪৮ বছরের বাবুলাল সিংহ নামে এক ব্যক্তির। তিনি হাতিবাগানের বাসিন্দা। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। মঙ্গলবার তাঁর করোনা ধরা পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫ দিন পর মারা যান।
এদিকে সোমবারই করোনা নিয়ে নবান্নে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ‘প্রস্তুতি সেরে রাখলাম, তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আশা করি প্যানডেমিক হবে না। যা যা দরকার সবই সরকারি হাসপাতালে আছে। ভ্যাকসিনও বেরিয়েছে, সবাই ভ্যাকসিন নিয়েও নিয়েছে। এখনই আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। কেউ ভয় পাবেন না। বর্ষাকালে একটু সর্দিকাশি হয়। আতঙ্কিত অবস্থার কারণ নেই, স্বাভাবিক অবস্থাই বজায় থাকবে।’
সব মিলিয়ে সকলের প্রয়োজন সতর্ক থাকা। কারণ ক্রমে বাড়ছে এই রোগ। তেমনই কলকাতাও বিপুল ভাবে ছড়িয়েছে করোনা। ফলে এই কঠিন রোগ থেকে বাঁচতে প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকুন। শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে ফেলে না রেখে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।