আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, দুর্নীতির তদন্তে ডেপুটি মেয়রের বাড়িতে সিবিআই

CBI Raid on Atin Ghosh House:  আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার তৃণমূলের ডেপুটি মেয়রের বাড়িতে সিবিআই। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

CBI Raid on Atin Ghosh House: আর জি কর কান্ডের তদন্তে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে সিবিআই। শ্যামবাজার বাড়িতে আর জি করে দুর্নীতির মামলায় বিধায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই। তদন্ত করতে গিয়ে অতীন ঘোষের নাম সামনে আসে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। যে সময় দুর্নীতি এবং খুন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সেই সময় রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য ছিলেন ডেপুটি মেয়র। চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। যার বাড়িতে গত শনিবার গিয়েছিল সিবিআই। সিবিআই আধিকারিকরা বেশকিছু ফাইল নিয়ে শুক্রবার দুপুর ২টোর পর গিয়েছেন অতীন ঘোষের বাড়িতে। এখনও চলছে তল্লাশি অভিযান।

সূত্রের খবর, গত বছর অগাস্ট মাসে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক খুনের পর শহরের এই নামী হাসপাতালের একের পর এক দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থ তছরূপ করা হয়েছে। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। উঠে আসে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম। এমনকি আরজি কর কাণ্ডের সময় বার বার উঠে এসেছিল কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের নাম। সিবিআইয়ের আতশ কাঁচের তলায় ছিলেন তিনিও। এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার তার বাড়িতে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

এদিকে শুক্রবার যে তার বাড়িতে সিবিআই যাবে সেই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়রকে আগেই জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। সেইমত শুক্রবার দুপুরে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সঙ্গে রয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত ভার যার হাতে রয়েছে সেই মূল আধিকারিক সহ সিবিআইয়ের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা গিয়েছেন অতীন ঘোষের বাড়িতে। এখনও চলছে তল্লাশি অভিযান।

অন্যদিকে, গত ২৪ অগাস্ট মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। জীবনকৃষ্ণ সাহার ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। জানা গিয়েছে, ইডির আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ নগর দায়রা আদালতের। শনিবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকবেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।

সূত্রের খবর, ইডিত তদন্তে জীবনকৃষ্ণ সাহার ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ইডির অভিযোগ, ৪৬ লক্ষ টাকার অস্বচ্ছ আর্থিক লেনদেন। তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে ইডি তদন্তে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণ সাহার নামে মোট ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেখান থেকে টাকা তোলা ও স্থানান্তর হয়েছে। ইডির দাবি, মোট ৪৬ লক্ষ টাকার লেনদেন ধরা পড়েছে। এর মধ্যে- ১ লক্ষ টাকা, ৮ লক্ষ টাকা, ১ লক্ষ টাকা, ১.৯৫ লক্ষ টাকা, ১২ লক্ষ টাকা (যার মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছিল), ১১.৫ লক্ষ টাকা, ২ লক্ষ টাকা। এই সমস্ত লেনদেন হয়েছিল ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে।