মবার ৮টা ১৯ মিনিটে মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয় কলকাতা ও পাশ্ববর্তী উত্তর ২৪ পরগানায়। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবরই পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতা। রিখটার স্কেলে মাত্র ছিল ৫.৪। কলকাতা ও পাশ্ববর্তী এলাকার সঙ্গে এদিন কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ ও মায়ানমারও। সোমবার ৮টা ১৯ মিনিটে মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয় কলকাতা ও পাশ্ববর্তী উত্তর ২৪ পরগানায়। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবরই পাওয়া যায়নি।
ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, ভূমকম্পের উৎসস্থল ছিল মেঘালতের চেরাপুঞ্জি থেকে ৪৯ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। মাটির প্রায় ১৬ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। বাংলাদেশের একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছেন, সিলেটের কানাইঘাট জেলা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে ভারতীয় সীমান্তের কাছে ছিল কম্পনের উৎস্থল।
কলকাতায় হালকা কম্পন অনুভূত হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। যদিও কম্পনের প্রভাব বাংলায় খুব একটা পড়েনি। উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকায় কনম্পনের প্রভাব ছিল বেশি। তবে বাংলাদেশে ভূমিকম্পের জেরে উত্তর পূর্বের জেলাগুলিতেই কম্পন বেশি অনুভূত হয়েছে। মেঘালয়, অসম ও অরুণাচনের বেশি কিছুস্থানে কম্পন অনুভূত হয়। ভূটানেও ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে।
এর আগে জুন মাসে ভূমিকম্প হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবারও উৎসস্থল ছিল সিলেটের কাছে। এবারও কম্পনের উৎস্থল সিলেট। তবে বাংলাদেশ বা প্রতিবেশী রাজ্যে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
দিন কয়েক আগেই আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে, কম্পন অনুভূত হল দিল্লি ও জম্মু ও কাশ্মীরেও। শনিবার আফাগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তারই জেরে সন্ধ্যেবেলা কেঁপে ওঠে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। শনিবার রাত ৯টার সময় কম্পন অনুভূত হয়ে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। আতঙ্কে বহু মানুষই বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। অনেকেই কম্পনের ভিডিও শ্যুট করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন। ভূমিকম্পের উৎস্থল আফগানিস্তান হলেও দিল্লি, নয়ডা, ফরিদাবাদ , গুরুগ্রাম এমনকি জম্মু ও কাশ্মীরেও কম্পন অনুভূত হয়।