
West Bengal Fish Market: জুলাই মাসে এখন ভরা বর্ষা। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এই বর্ষার মরসুমেও বাজারে সেভাবে ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকটি বাজারে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বটে, কিন্তু পরিমাণ বেশি নয় এবং মাছের আকারও বড় নয়। ছোট আকারের ইলিশ মাছই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলি 'খোকা ইলিশ' নামে পরিচিত। বাজারে এখন যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলির দাম অনেক বেশি। এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা এসে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও নদী ও সমুদ্রে খুব বেশি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতেই ফের ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। তাঁরা মূলত ইলিশ মাছ ধরার জন্যই সমুদ্রে পাড়ি জমাচ্ছেন। কিন্তু যত ইলিশের আশা করছেন মৎস্যজীবীরা, সেই আশা পূরণ হচ্ছে না।
ভরা বর্ষার মরসুমে বাজারে ইলিশের জোগান কম থাকলেও, অন্য মাছ ভালোই পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। ফলে তাঁদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে না। যদিও খারাপ আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের পক্ষে গভীর সমুদ্রে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে মোহনার কাছেই ভোলা, পার্শে, ব্যুমেরাং, পাতা, নিহারির মতো মাছ বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। সামুদ্রিক মাছও পাওয়া যাচ্ছে। লোটে মাছ, কাঁকড়াও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, গভীর সমুদ্রে যেতে পারলে ইলিশ পেতে পারেন। কিন্তু আপাতত সেখানে যেতে পারছেন না। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানার মতো মৎস্য মন্দরগুলিতে ইলিশ ছাড়া অন্যান্য মাছই বেশি আসছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলেই গভীর সমুদ্রে যেতে পারবেন মৎস্যজীবীরা। তখন তাঁরা ইলিশ পেতে পারেন। ফলে এখন আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার অপেক্ষায় সারা রাজ্যের মৎস্যজীবীরা। ইলিশপ্রেমীরাও বাজারে এই মাছ আসার অপেক্ষায়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।