রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহল। এবার যে ফুটেজ সামনে এল, তাতে ভয়ঙ্কর ছবি দেখা গিয়েছে।
ভোটের মুখে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির ঘটনায় মারাত্মক ফুটেজ সামনে এল। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহল। এবার যে ফুটেজ সামনে এল, তাতে ভয়ঙ্কর ছবি দেখা গিয়েছে।
রাজভবনের ফুটেজ আগেই চেয়েছিল পুলিশ। তবে লালবাজারকে সেই ফুটেজ না দিয়ে জনতার জন্য ‘সচ কা সামনা’ বলে একটি অনুষ্ঠানের ঘোষণা করা হয়। বুধবার ইমেল আইডি এবং ফোন নম্বর জানিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়। গতকাল ঘটনার দিনের ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের ফুটেজ দেখায় রাজভবন।
কী দেখা যায় সেই ফুটেজে
পুলিশের হাতে যে সিসিটিভি ফুটেজটি এসেছে সেটা বিকেল ৫:১৫ মিনিটের বলে খবর। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নামছেন ওই তরুণী। এরপর সোজা স্পেশ্যাল সেক্রেটারির অফিসে যান। সেখানে একজন ডাক্তার ছিলেন তিনি ওই তরুণীকে কাঁদতে এবং কাঁপতে দেখে প্রথমে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন।
ওই ঘরে ১০ মিনিট মতো ছিলেন অভিযোগকারিণী। এরপর স্পেশ্যাল সেক্রেটারির ঘর থেকে বেরিয়ে রাজভবনের ওসির ঘরের দিকে যান তিনি। উল্লেখ্য, গতকাল রাজভবনের তরফ থেকে দেখানো ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, ওসি এবং অতিরিক্ত ওসির ঘরে ঢুকছেন অভিযোগকারিণী। তাঁর কাঁদতে কাঁদতে সিঁড়ি থেকে নামার ফুটেজ গতকাল দেখানো হয়নি।
রাজভবন সূত্রে খবর, বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে রাজভবনে কাজ করছেন অভিযোগকারী মহিলা। তাঁর দাবি, রাজভবনের ভেতর যে পিসরুম খোলা রয়েছে, সেখানে বর্তমানে পিবিক্সে কাজ করছেন তিনি। এদিকে গত ১৯ তারিখ পিসরুম পরিদর্শনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। এরপর থেকেই নাকি তাঁকে নানানভাবে নিরিখ করতে শুরু করেন রাজ্যপাল। এখানেই শেষ নয়! কুইঙ্গিত করেন বলেও অভিযোগ।
এরপর গতকাল সেই মহিলাকে নিজের নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। এরপর সেখানেই ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলার দাবি, তাঁকে ‘বিউটিফুল’ বলেছেন। আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেছেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে শ্লীলতাহানিও করেছেন বলে অভিযোগ।
জনতাকে রাজভবনের ফুটেজ দেখানোর পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন অভিযোগকারিণী ওই তরুণী। বলেছিলেন, ‘এখন যা অবস্থা, আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও পথ নেই’। তিনি আরও বলেন, ‘হাস্যকর নাটক না করে, পুলিশকে তদন্ত করতে দিলে আমার মনে হয় সেটা আরও বেশি কার্যকর হতো। রাজ্যপাল মহাশয় একটি কুরুচিকর কাজ করলেন ও নাটক মঞ্চস্থ করলেন। আমার ফুটেজ প্রকাশ্যে আনলেন… আমার যতদূর জানা যাছে, ভারতীয় আইনে অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন রাখার কথা আছে। এখন যে ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে আমায় দেখা যাচ্ছে’।
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।