
SSC 2016 Scam: যেটুকুও আশার আলো জ্বলছিল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে (Supreme Court on SSC Verdict) সেই প্রদীপও নিভল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগে ব্যাপর পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে। ফলে পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আলাদা করা গেল না যোগ্য আর অযোগ্যদের। স্বাভাবিক ভাবেই এদিনের সুপ্রিম রায়ে অথৈ জলে পড়লেন হাজার হাজার প্রকৃত যোগ্য চাকরি প্রাপকরা।
শীর্ষ আদালতের রায়ের পর এদিন কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা চত্বরে যেখানে ২০১৬-চাকরি প্রাথীরা ধর্নায় বসেছিলেন, সেখানে পিন পতনের শব্দ নেই। কারও কারও মধ্যে আবার ফুটে উঠেছে ক্ষোভের বিস্ফোরণ। ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের খবরে স্তম্ভিত তাঁরা। সদ্য চাকরিহারা এক শিক্ষক দাবি করে বলেন, ''আমরা তো দুর্নীতি করিনি। ED-CBI যে সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে তো আমার নাম নেই। অন্যের দুর্নীতির ফল কেন আমি ভুগব।''
তিনি আরও বলেন, ''ছয় বছর ধরে চাকরি করছি। আদালতের রায়ে আজ চাকরি হারালাম। এবার তো পথে বসতে হবে।'' এই রায় অপ্রত্যাশিত বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই অভিযোগের সুর শোনা গেল সদ্য চাকরি হারানো আরও এক শিক্ষকের গলায়। তিনি বলেন, ''তাঁদের এই পরিণতির জন্য একমাত্র দায়ি রাজ্য সরকার। রাজ্যকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে।'' সুপ্রিম কোর্ট থেকে তাঁরা এই রায় আশা করেননি বলেও জানিয়েছেন। হতাশার সুর ধর্মতলায় ধর্নায় বসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গলায়। বৃহস্পতিবারের এই রায়ে বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারিয়েছেন তাঁরা তাও জানাতে ভোলেননি। বিক্ষোভ মঞ্চে এখন শুধুই কান্নার রোল।
প্রসঙ্গত, নিয়োগে কোনও স্বচ্ছতা নেই। পুরো প্রক্রিয়াতেই কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০১৬-র এসএসসির নিয়োগ প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না আদালত। এদিকে আদালতের রায় নিয়ে এদিন তড়িঘড়ি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''২৫ হাজার চাকরিহারা মানে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক লক্ষ মানুষ। চাকরিহারাদের পাশে মানবিক ভাবে আছি। বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ সম্মান আছে। ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করে দেব।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।