কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, পুজোর আগে থেকেই কলকাতা শহরের হকারদের নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছিল পুরসভা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকার নীতি ঠিক করতে কয়েক মাস আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন।হকার উচ্ছেদ হয়েছিল কলকাতা সহ একাধিক একালায়। এই অবস্থায় কলকাতার কয়েক হাজার হকারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হতে চলেছে। কারণ হাকারদের সমীক্ষা করে সংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই কলকাতা পুরসভা হকারদের সমীক্ষা করে শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, পুজোর আগে থেকেই কলকাতা শহরের হকারদের নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছিল পুরসভা। সেখানে ৫৪ হাজার ১৭৮ জন হকার নাম নথিভুক্ত করেছিল। কোন হকার কোন এলকায় ব্যবসা করেন, ফুটপাথের ঠিক কতটা জায়গায় নিয়ে বসে আছে - সমীক্ষায় সংশ্লিষ্ট হকারের লোকেশন জিপিএস ট্যাহিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের হকারদের আধার কার্ড আর প্যান কার্ডের কপিও নেওয়া হয়েছিল হকারদের থেকে। সবদিক খতিয়ে দেখে দেখে এবার বৈধ হকারদের ছাড়পত্র দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে কলকাত পুরসভা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, সমীক্ষা অনুযায়ী ১৪ হাজার হকারের বেশি হকারের বসার জায়গা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তাদের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কলকাতা পুরসভা। হকারদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নভেম্বর মাসের শেষের দিকে বসছে টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুরসভা সূত্রে খবর, ফুটপাতের নির্দিষ্ট জায়গায় স্টল গড়ে ব্যবসা করছেন কমবেশি ৪০ হাজার হকার। তাঁদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি ১৪ হাজার হকার নিয়ে জটিলতা রয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর দ্রুত ১৪ হাজার হকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা পুরসভা। টউন ভেন্ডিং কমিটিতে তাদের নিয়ে আলোচনা হবে। পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে এক নামে একাধিক ডালা বসিয়ে বেআইনিভাবে করছে। তবে কলকাতা পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী একজন হকার একটি মাত্র ডালা বসাতে পারবে। আর সেই কারণে যাবা বেআইনি ব্যবসা করেছে তাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, কোনও বৈধ হকারকে বঞ্চিত করা হবে না। কিন্তু অসাধু উপায় যদি কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এক নামে একাধিক হকারের ডালার সন্ধান পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পুরসভা রেয়াত করবে না। সুষ্ঠু হকার নীতি প্রণয়ন করে হকারদের নির্দিষ্ট পরিধি অনুযায়ী ব্যবসার বন্দোবস্ত করে দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।