এদিকে প্রথমদিনের পরই সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ার ঘোষণা করে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। সমাজ মাধ্যমে 'সোল্ড আউট' বলে জানিয়ে দেওয়া হয় ডুরান্ডের পক্ষ থেকে।
রবিবার বড় ম্যাচ শহরে। ডুরান্ড ফাইনালে ফের মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। অথচ ময়দানে শুক্রবার বিকেল থেকেই টিকিটের হাহাকার। বৃহস্পতিবার মোহনবাগান ফাইনালে যাওয়ার পর থেকেই উত্তেজনার পারদ কয়েকগুণ বেড়ে গয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই টিকিটের জন্য লম্বা লাইন দেখা যায় দুই ক্লাবের সামনে। তবে ঝড় জল বৃষ্টিতে ভিজে ভোর রাত থেকে লাইন দিয়েও অনেকেই টিকিট পাননি বলে অভিযোগ জানান। অনলাইনে টিকিট বিক্রি না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাপ আরও বাড়তে থাকে। এদিকে প্রথমদিনের পরই সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ার ঘোষণা করে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। সমাজ মাধ্যমে 'সোল্ড আউট' বলে জানিয়ে দেওয়া হয় ডুরান্ডের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে ঠিক কত টিকিট বিক্রি হয়েছে সেবিষয়ও জানাতে রাজি নয় ডুরান্ড কতৃপক্ষ। শুধু গতবারের তুলনায় এবার সামান্য বেশি টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। তবে সূত্রের দাবি এখনও বেশ কিছু টিকিট রয়েছে। সেই টিকিট বিক্ষিপ্তভাবে ছাড়া হতে পারে বলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। তবে গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে দুই ক্লাবের সমর্থকরা। শনিবার সকাল থেকেই ময়দানে ভিড় জমতে থাকে সমর্থকদের। বেলা ১১টার পর থেকে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা ক্লাবের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েও তারা অনেকেই টিকিট পাননি। অবশেষে ইতিহাস গড়ে ময়দানের রাস্তায় একসঙ্গে বিক্ষোভ দেখালেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাবের সমর্থকরা। একসঙ্গে পথ অবরোধ করল লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুণ ক্লাবের সমর্থকরা।
অন্যদিকে দুই ক্লাবেরই বক্তব্য, এ বার ডার্বির যা উন্মাদনা, তাতে টিকিট যে পড়ে থাকবে না, সেটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘ লাইন থাকবে, টিকিট ছাড়া মাত্রই সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে।