রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই তৃণমূল নেতাই এবার পদ ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে নারাজ কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই ঘোষণা করেছেন তিনি। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সেনাপতি, তৃণমূল কংগ্রেস আমার দল।’ মমতা ও অভিষেকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার পরেও কুণাল কেন তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন, সেটা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে।
কাকে নিশানা কুণালের?
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নাম না করে দলেরই এক জনপ্রতিনিধিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কুণাল। তিনি লিখেছেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’ এই পোস্টে কুণাল কাকে নিশানা করলেন সেটা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, সাংসদ সৌগত রায়কে হয়তো নিশানা করলেন কুণাল।
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ কুণালের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে হুগলির আরামবাগের সভা থেকে সন্দেশখালি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ করে কুণালের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ‘নরেন্দ্র মোদি বাংলার মাটিতে একরাশ কুৎসা করে গেলেন। যুক্তিতে তাঁকে ধুয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ঘটনা হল তাঁর কড়া সমালোচনার মূল দায়িত্ব যাঁদের, দুটি আলাদা বিরোধী দলের লোকসভার দলনেতারা তো প্রধানমন্ত্রীরই লোক। এঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ। এই দুজনকে দুভাবে ব্যবহার করেন মোদি। একজনকে রোজ ভ্যালি থেকে বাঁচিয়ে গলায় বকলস পরিয়ে রেখেছেন।’ নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে নিশানা করেছেন কুণাল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-