Calcutta High Court: মহিলাদের উপর অত্যাচার, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
Calcutta High Court Judgement: কোনও মেয়ে বা মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে স্পর্শ করা ধর্ষণের (Rape) সমতুল্য। এক মামলায় এমনই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেছেন, 'ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও মেয়ের গায়ে হাত দেওয়া শুধু নীতিগত ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, আইনগত দিক থেকেও গুরুতর অপরাধ।' হুগলির তারকেশ্বরের এক নাবালিকার দায়ের করা মামলায় এই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে পুলিশ (West Bengal Police)। এই মামলায় পকসো আইনের পাশাপাশি ধর্ষণের ধারাও যুক্ত করতে হবে। বিচারপতি বলেছেন, এই মামলায় নাবালিকাকে যে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে, তা ধর্ষণের সমান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এই মামলার যে কোনও পর্যায়ে যদি অভিযোগকারী নাবালিকার মনে হয়, পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করছে না, তাহলে তিনি ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন।
নাবালিকার অভিযোগ কী?
ওই নাবালিকার অভিযোগ, কয়েক মাস আগে একদিন স্কুল থেকে ফেরার সময় তাঁকে অপহরণ করা হয়। এই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, যে তাঁকে অপহরণ করেছিল, সে ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্পর্শ করেছিল। পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। শেষপর্যন্ত মামলা দায়ের করা হলেও, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে নাবালিকার পরিবার। এই মামলাতেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেছেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও মহিলার গায়ে হাত দেওয়া অপরাধ। পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবেও জানিয়েছে আদালত।
দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়?
সম্প্রতি রাজ্যের নানা প্রান্তে একের পর এক মহিলার উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি মামলায় সাজাও ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তারকেশ্বরের নাবালিকার দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিল, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের রায়ের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়া চালানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে মহিলাদের সুবিধা হতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।