চিকিৎসা চলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমআরআই হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ডের ১২ নম্বর কেবিন।
হেলিকপ্টার সমস্যায় গুরুতর চোপ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পায়ে আর কোমরে চোট লেগেছে। আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল সুপারস্পেশালিটি এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে হাসপাতালে পায়ে হেঁটে ঢুকলেও সূত্রের খবর হাসপাতালের ভিরতে এক বিভাগ থেকে অন্যত্র তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হুইল চেরায়ে করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট কতটা তা দেখার জন্য এদিনই তাঁর এমআরআই পরীক্ষা করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জন্য তৈরি রয়েছে ১২ নম্বর কেবিন। সেখানেই যাবতীয় পরীক্ষা হয় তাঁর। এদিন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই তৈরি ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তৈরি রাখা হয়েছিল কেবিনও। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌছানোর পর থেকেই তাঁকে ঘিরে শুরু হয়ে যায় তৎপরতা। মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে যাওয়ার আগেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছে আপাতত সুস্থ রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা চলছে। মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর পরীক্ষার ও চিকিৎসার জন্য রয়েছেন, অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্টের চিকিৎসক, নিউরো মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরাও। একাধিক বিভাগীয় প্রধানও রয়েছে।
এসএসকেএম হাসপাতালের সবথেকে আত্যাধুনিক কেবিন রয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ডে। ৩৪ টি কেবিন রয়েছে এখানে। এগুলি মূলত ভিভিআইপি ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এখানে ফ্রিজ, টিভি রয়েছে। এই কেবিনগুলিতে রোগীর সঙ্গে একজন করে থাকতেও পারবে। প্রত্যেকটি কেবিনের মূল্যও আদালা। অন্যদিকে ১২ নম্বর কেবিনের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এটি তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। তবে উডবার্ন ওয়ার্ডে ১৩ নম্বর কেবিন বলে কিছু নেই।
এদিন জলপাইগুড়ির মালবাজারে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারসভায় যাওয়ার পথেই বিপত্তি। চপার দুর্ঘটনায় পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝপথে আকাশ কালো করে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। পাইলট সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টারের মুখ ঘুরিয়ে যে দিকে আকাশ পরিষ্কার, সে দিকে উড়তে শুরু করেন। তলায় বৈকণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গল থাকায় তিনি তখনই কপ্টার নামাতে পারেননি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেবকের এয়ারবেসটি দেখতে পান পাইলট। সেখানেই জরুরি অবতরণ করেন।
সেখান থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কলকাতা বিমান বন্দর হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নন্দীগ্রামে গিয়ে মমতা যখন পায়ে চোট পেয়েছিলেন সেই সময়ও সেখান থেকেই তিনি সরাসরি চলে আসেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে সেবারও তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল।
আরও পড়ুুনঃ
বিধানসভা নির্বাচনের স্মৃতি ফিরল পঞ্চায়েত নির্বাচনে, প্রচারে গিয়ে পায়ে চোট মুখ্যমন্ত্রী মমতার