নবান্ন বনাম জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্ঘাত তুঙ্গে, রাজ্যের পাঠানো তালিকা বাতিল করল কমিশন

Published : Aug 07, 2025, 11:32 AM ISTUpdated : Aug 07, 2025, 11:33 AM IST
election commission

সংক্ষিপ্ত

Election Commission News: বছর ঘুরলেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই যার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক শিবির। ভোট মসৃণ ভাবে পরিচালনা করতে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনও। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Election Commission News: আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে প্রশাসনিক পরিমণ্ডল। কমিশনের নির্দেশিকাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্য-কমিশনের টানাপোড়েন শুরু। বুধবার দুপুরেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হন। এর মধ্যেই রাজ্য সরকারের পাঠানো নামের প্যানেলে অসন্তোষ জানাল নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ — অ্যাডিশনাল সিইও, ডেপুটি সিইও এবং জয়েন্ট সিইও-র জন্য যে প্যানেল পাঠানো হয়েছে, সেখানে প্রস্তাবিত আধিকারিকদের কারওরই নির্বাচন পরিচালনার বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই। তাই সেই প্যানেল গ্রহণযোগ্য নয়।

কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে নতুন করে নামের তালিকা তৈরি করতে হবে এবং তা দ্রুত পাঠাতে হবে। সূত্রের খবর, কমিশনের এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে রাজ্য প্রশাসন। বিশেষত যেহেতু ২০২৬-এর ভোটের জন্য প্রস্তুতির প্রক্রিয়া এখনই শুরু করার কথা ভাবছে কমিশন, সেক্ষেত্রে এই তিনটি শীর্ষ প্রশাসনিক পদে নিয়োগ অবিলম্বে জরুরি।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরকে নতুন করে প্যানেল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য-কমিশনের এই সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনিক সমন্বয় কতটা মসৃণ হবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

অন্যদিকে, এসআইআর ইস্যুতে ব্যাপক  চাপে রাজ্য সরকার। এবার মুখ্যসচিবকে সরাসরি চিঠি নির্বাচন কমিশনের। জানা গিয়েছে, এসআইআর ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে পারেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ! জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যসচিবকে। যদিও চিঠির বিষয়ে এখনও নবান্নের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

নির্বাচন কমিশনের তরফে নবান্নে পাঠানো ওই চিঠিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে, বারুইপুর ও পূর্ব ময়নার যে দুজন ইএলআরও-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এই বিষয়ে কমিশনকে বিস্তারিত জবাব দিতে বাধ্য রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আর এতেই শুরু হয়েছে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের হুমকি হুমায়ুন কবীরের, হস্তক্ষেপে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন হুমায়ুন কবীর, রাজভবনে বিশেষ সেল চালু রাজ্যপালের