
এবছর শীতের আগেই মানুষের ঢল নামবে কলকাতা চিড়িয়াখানায়। কারণ কলকাতায় আসতে চলেছে অ্যানাকন্ডার নতুন প্রজাতি। সবুজ রঙের, আরও দৈত্যাকার। অ্যামাজনের এই দৈত্যর দেখা মিলেছিলো প্রফেসার শঙ্কুর গল্পে। বিদেশী সিনেমাতেও এর জনপ্রিয়তাও আলাদাই। এবার মিলবে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। এর জন্য ঘর আগে থেকেই তৈরি ছিল, শুধু আসার অপেক্ষামাত্র। কেন্দ্রীয় জু অথিরিটি ছাড়পত্র দিলেই তাকে নিয়ে আসা হবে। তবে ভারতের আর কোনো চিড়িয়াখানায় এখনও এর আগমন ঘটেনি। কলকাতা চিড়িয়াখানাতেই তবে দেশের প্রথম সবুজ অ্যানাকোন্ডা আনা হবে।
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেন বলেছেন, 'গ্রিন অ্যানাকোন্ডা আনার পরিকল্পনা রয়েছে। আনার প্রক্রিয়া চলছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আনা হচ্ছে। অনন্ত ৩টে গ্রিন অ্যানাকোন্ডা আনা হবে।' তবে ঠিক কবে গ্রিন অ্যানাকোন্ডা আনা হবে এবং কোথা থেকে আনা হবে, তা এখনই খোলসা করেননি অধিকর্তা।
এর আগে ২০১৯ সালে ম্যাড্রাস ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক থেকে চারটি হলুদ অ্যানাকোন্ডা নিয়ে এসেছিল আলিপুর জু। এবার সবুজ অ্যানাকোন্ডা আনার কথা চলছে। হলুদ অ্যানাকোন্ডার থেকে দ্বিগুণ বড় এই সবুজ অ্যানাকোন্ডা। দৈত্যাকার এই সাপের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ ফুট পর্যন্ত হয়। ওজন প্রায় ২৫০ কেজির মতো।
গত তিন বছর ধরেই এই সাপের প্রজাতি কলকাতায় আনার চেষ্টা করছিল আলিপুর জু। ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ জু অ্যান্ড অ্যাকোয়ারিয়াম (WAZA)-এর কাছে খোঁজ করলে রাজ্য যুব অথরিটিকে খালি হাতেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। দেশের মধ্যে কেবল ম্যাড্রাস ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্কেই রয়েছে সবুজ অ্যানাকোন্ডা। এর আগেও ম্যাড্রাসের কাছে সবুজ অ্যানাকন্ডা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেবার ফিরিয়ে দিলেও, এবার ৩টি শাবক দিতে রাজি হয়েছে তারা। বিনিময়ে আলিপুরের কাছ থেকে শাঁখামুটি কিংবা ইগুয়ানা সাপ চেয়েছে ওই ব্যাঙ্ক। নতুন অতিথি ঘরে আসার সমস্ত কথাবার্তা ও বন্দোবস্ত শেষের পথে। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় জু অথিরিটি ছাড়পত্র দিলে তাকে নিয়ে আসা হবে কলকাতায়।
এছাড়াও দর্শকদের আরও চমক দেওয়ার জন্য চিড়িয়াখানার অধিকর্তারা নতুন সব প্রজাতির পাখি আনারও ব্যবস্থা করেছে। নতুন কাঁচে ঘেরা খাঁচাও তৈরী করা হয়েছে। ওই কাঁচে ঘেরা অংশের ভেতর দাঁড়িয়ে খোলা আকাশে পাখি দেখার মতোই অনুভূতি পাবেন কলকাতাবাসী।