
অবশেষে তা স্বীকার করলেন প্রসূন দে, অন্তত এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে, হাত কাটার রহস্যও ভেদ করা হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
প্রথমে প্রসূন দাবি করেন যে, সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে নিজেরাই নিজেদের হাত কেটেছিলেন। যদিও শেষপর্যন্ত সেই দাবি থেকে সরে আসেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেরায় প্রসূন দুই বধূর হাত কাটার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
কলকাতার ট্যাংরায় দে পরিবারের খুনের ঘটনায় যেন পড়তে পড়তে রহস্যে। সেই দে পরিবারে নিহত তিন মহিলার মৃত্যু ঠিক কীভাবে হল, কে তাদের খুন করলেন? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে প্রথম থেকেই রয়েছেন প্রসূন দে, তাঁর দাদা প্রণয় দে এবং প্রতীপ দে।
উল্লেখ্য, প্রণয় এবং প্রসূন বর্তমানে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি। সেখানেই তাদের বারবার জেরা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেরায় অবশেষে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রসূন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁর স্ত্রী রোমি নিজেই হাত কাটার চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। তখন প্রসূন এসে রোমির মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হাত কাটেন। পরে বৌদি সুদেষ্ণারও হাত তিনিই কাটেন বলেও দাবি করেছেন প্রসূন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, ট্যাংরার অটল শূর রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি মৃতদেহ। দে পরিবারের দুই বধূ রোমি, সুদেষ্ণা এবং কিশোরী প্রিয়ংবদাকে খুন করা হয়েছে বলে জানা যায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে। আর ওই দিনই ভোরবেলায় বাইপাসের ধারে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। তাতে ছিলেন দে পরিবারের দুই ভাই প্রণয় দে, প্রসূন দে এবং প্রতীপ দে।
পুলিশ জানতে পারে, ঐ কিশোরকে গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দুই ভাই। কিন্তু প্রতীপ তাতে রাজি হয়নি। পুলিশি জেরার মুখে দুই ভাই দাবি করেন, আর্থিক সমস্যার জেরেই তারা সপরিবার আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রতীপও সেইরকমই দাবি করেন, তাঁর কাকা প্রসূনই পরিবারের তিন সদস্যকে খুন করেছেন।
তবে এখনও দুই ভাইকে হেফাজতে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি পুলিশ। তারা সুস্থ হয়ে উঠলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে এই বিষয়ে পুলিশ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।