আরও সিবিআই দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এই নিয়ে টানা ১৪ দিন তাঁকে তলব করা হল সিবিআই দফতরে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যায় সন্দীপ ঘোষ। এর আগে ১৩ দিনে তাঁকে প্রায় ১৩০ ঘণ্টা জেরা করেছে সিবিআই।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত সিবিআই করেছে ১৫ অগাস্ট থেকে। ১৬ অগাস্ট আরজি করার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জেরা করেছিল সিবিআই। তারপর থেকে লাগাতার তাঁকে তলব করা হচ্ছে। নিত্যদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত সন্দীপের কাটছে সিবিআই দফতরে। বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও করছে সিবিআই। আর সেই কারণে গত রবিবার সিবিআই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতেও গিয়েছিল। সেখানে দীর্ঘক্ষণ জেরা ও তল্লাশি করা হয়েছে। সূত্রের খবর আর্থিক তছরুপ সম্পর্কে প্রচুর নথি পেয়েছে। কিন্তু আরজি কর হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সন্দীপকে জেরা করে সিবিআই কীকী পেয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইতিমধ্যেই কোর্টের আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্টও হয়েছে। কিন্তু সেই সেই রিপোর্ট নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছে সিবিআই। চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র সঞ্জয়কেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাকেও দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। এখনও জানা যায়নি সন্দীপ আর সঞ্জয়কে মুখোমুখি বসিয়ে সিবিআই জেরা করেছে কিনা। তবে দুইজনকে আলাদা আলাদা জেরা করা হচ্ছে। সিবিআই সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের তদন্তও করছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। কোর্টের নির্দেশে সেই তদন্তেও সিবিআই-এর হাতে। বৃহস্পতিবার সিবিআই যখন সন্দীপকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেই সময়ই নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই -এর পাঁচ সদস্য আরজি করের মর্গে যায় আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।