
Kolkata News: আর.জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় চার্জশিট দিল কলকাতা পুলিশ। গত বছরের ১৪ অগাস্ট রাতের ওই ঘটনায় বামফ্রন্টের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট কলকাতা পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৫৪ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। এর মধ্যে রয়েছেন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআই নেতা দেবাঞ্জন দে ও কলাতন দাশগুপ্ত, প্রাক্তন সিপিআই (এমএল) নেত্রী দিধিতি রায় এবং সিপিএম নেতা দীপু দাস।
ঘটনাটি ঘটেছিল তরুণী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের মাত্র পাঁচ দিন পর, অর্থাৎ ১৪ আগস্ট রাতে । ৯ অগাস্টের সেই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশ-বিদেশে আন্দোলনের ঢেউ ওঠে। পুলিশ অভিযোগ করেছে, বাম নেতারা বিক্ষুব্ধ ভিড়কে উস্কানি দিয়েছিলেন। সেই রাতে উন্মত্ত ভিড় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিচতলা ভাঙচুর করে তছনছ করে দেয়। ভাঙচুরে বহু আধিকারিক ও পুলিশ কর্মী জখম হন। এ ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা রুজু করেছিল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের দাবি, তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলায় চার্জশিটে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অভিযুক্তদের।
সোমবার শিয়ালদহ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, বিকাশ ঝা, বর্ণনা মুখোপাধ্যায়, দীপু দাস-সহ আট সিপিএম নেতানেত্রী। এ দিন শিয়ালদহের এসিজেএম কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। আদালত সূত্রের খবর হাজার টাকা করে ব্যক্তিগত বন্ডে আট জনকে জামিন দিয়েছে আদালত। আট বাম নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে টালা থানায় দু'টি এবং উল্টোডাঙা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। সব মামলাতেই তাঁরা জামিন পেয়েছেন।
অন্যদিকে, সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তাঁর বাসভবন থেকে SSC (সহকারী শিক্ষক) নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে দ্বিতীয়বার গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালানোর সময় গ্রেফতার করা হয় বলে ED কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।