কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসক খুন ও ঘর্ষণকাণ্ডে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী- বিচারের দাবিতে সরব হয়েছিল।
তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছ
তদন্তের গতিপ্রকৃতি
আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রথম তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তের ভার যায় সিবিআই-এর হাতে।
ধৃত এক
আরজি কর হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধেঅভিযোগ উঠলেও এখনও পর্যন্ত ধৃত একজন। সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। যদিও সে নিদেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে
তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ
আরজি কর হত্যাকাণ্ডে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তৎকালীন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। কিন্তু সিবিআই তাদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে পারেনি। তাই জামিনে মুক্ত দুজনেই।
ঘটনার ৫ মাস পরে রায় দান
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছিল ৯ আগস্ট। রায়দান হবে ১৮ জানুয়ারি, শনিবার। অর্থাৎ মাত্র ৫ মাস ৯ দিনের মধ্যেই রায়দান করা হবে।
বিচার প্রক্রিয়া শুরু
আরজি কর হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১১ নভেম্বর।
সাক্ষ্য গ্রহণ
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে নিহত চিকিৎসকের পিতা, সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার, কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এবং নিহতের কয়েক জন সহপাঠী।
চার্জ গঠন
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরুণী খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমেই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। সিবিআই সঞ্জয় ছাড়া আর কাউকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করতে পারনি। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল ৪ নভেম্বর।
কী সাজা হবে
প্রশ্ন সঞ্জয় রায়ের কী সাজা ঘোষণা করা হবে? সিবিআই আদালতে বলেছে আরজি কর হত্যাকাণ্ড বিরলতম ঘটনা। তাই অনুমান করা হচ্ছে সঞ্জেয়কে ফাঁসির সাজাও শোনাতে পারে আদালত।