
Kolkata Crime News: গার্ডেনরিচে অনলাইন প্রতারণা চক্রের হদিশ। ৭ জন গ্রেফতার। উদ্ধার বহু এটিএম ও আধার কার্ড। জানা গিয়েছে, গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ ফের একটি বড়সড় অনলাইন প্রতারণা চক্রের হদিশে সাফল্য পেল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ একটি লাল গাড়িকে আটক করে। যার নম্বর WB06K-4104। ওই গাড়িতে থাকা চার যুবক – সহিনুর রহমান ফকির (২৫), শেখ রাহুল (২০), শেখ আসফাক (১৮) ও আশিক মিস্ত্রি (১৯), সকলেই রবীন্দ্রনগর থানার অন্তর্গত সানথপুর এলাকার বাসিন্দা।
তাদের কাছ থেকে একটি ধূসর রঙের ব্যাকপ্যাক উদ্ধার হয়। যার ভিতরে বিভিন্ন ব্যাংকের একাধিক এটিএম কার্ড পাওয়া যায়। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই কার্ডগুলি প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং তা অন্যদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল টাকা রবিনিময়ে।
তদন্তে উঠে আসে আরও তিনজনের নাম – শেখ সাহিদ কাদরি (২০), শেখ আলিমুদ্দিন (২১) ও শেখ ফিরোজ (২০), তিনজনই ওড়িশার ভদ্রক জেলার বাসিন্দা। ওইদিনই বিকেল ৫:৪৫ নাগাদ হাওড়ার শিবপুর থানার আওতাধীন আভনি রিভারসাইড মলের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পরে গোয়েন্দারা গোলাবাড়ি থানার অধীনে কিংস রোডের নির্মল হোটেলের একটি ঘরে হানা দিয়ে উদ্ধার করেন আরও এটিএম কার্ড, আধার কার্ড ও মোবাইল ফোন। সকল অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয় বলে জানা গিয়েছে ।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার মল্লিকপুরে মঙ্গলবার রাতে মোঃ তানভীর নামে এক নাবালকের উপর মল্লিকপুর গনিমার কাছে দুজন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে হঠাৎই চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তনবিরকে কোপাতে থাকে। আশেপাশের লোকজন চলে এলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুই হামলাকরি। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ছড়ায়।
সূত্রের খবর, ওই নাবালক সন্ধ্যার পরে ঘুরতে বেরিয়েছিল। স্থানীয়রা গুরুতর আহত নাবালকে নিয়ে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। আহত নাবালকের দিদির বয়ান অনুযায়ী, জানা গিয়েছে ওর সঙ্গে দুই বন্ধু ছিল তারাই কুপিয়ে পালিয়েছে। প্রকৃত তারাই না অন্য কেউ কুপিয়েছে তা জানতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।