
Fake Call Center: লাগাতার পুলিশি অভিযানেও এতটুকু ভয় নেই! ফের পুলিশি অভিযানে শহরে সন্ধান মিলল অবৈধ কলসেন্টারের। কলসেন্টারের আড়ালে চলত অসামাজিক কাজকর্ম। পুলিশি অভিযানে ফের ফাঁস বড় অপরাধ চক্রের পর্দা। ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আগে থেকেই এই অবৈধ কল সেন্টারের বিষয়ে পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিলো। সেই অভিযোগের তথ্যের ভিত্তিতে গোপনে বাগুইহাটি থানা এলাকার সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসে এই কলসেন্টারের আড়ালে চলা কুকীর্তির।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে, সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতাতো। স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় এই বিষয়ে 382/2025 মামলা রুজু হয়। এবং পুলিশি অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, প্রচুর পরিমাণে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন। ধৃতদেরকে এদিন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এবং পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে শহরে ফের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ। ঘটনাটি নিছক আত্মহত্যা নাকি খুন! তা নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর থেকে উদ্ধার একই পরিবারে তিনজনের দেহ। কসবায় ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মা-বাবা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়েছে কসবা থানার পুলিশ। খুন না কি আত্মহত্যা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আত্মহত্যা। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
মৃতদের নাম সরজিৎ ভট্টাচার্য (৭০), গার্গী ভট্টাচার্য (৬৮) ও আয়ুষ্মান ভট্টাচার্য (৩৮)। বাবা মায়ের সঙ্গেই কসবা রাজডাঙা গোলপার্কের ফ্ল্যাটে থাকতেন আয়ুষ্মান। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফ্ল্যাটের দরজা খুলছিল না ওই পরিবার। দীর্ঘ সময় ওই ফ্ল্যাট থেকে কোনও শব্দ পাননি প্রতিবেশীরা। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করে কোনও শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা খবর দেন আত্মীয়দের। ডাকা হয় কসবা থানার পুলিশকে। কসবা থানার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন।
দরজা খুলতেই ঘর থেকে বৃদ্ধ-দম্পতি ও তাঁদের ছেলের দেহ উদ্ধার হয়। ডাইনিং হলে সিংলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বৃদ্ধ সরজিৎ ভট্টাচার্যকে। পাশেই ঘরেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় গার্গী ভট্টাচার্য, আয়ুষ্মান ভট্টাচার্যকে। খুন না কি আত্মহত্যা নিয়ে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদি তাঁরা আত্মহত্যা করে থাকেন তাহলে কেন? পরিবার কোনও আথির্ক সমস্যায় ভুগছিলেন কি না তা দেখা হচ্ছে। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।