সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব ও মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন হয়। বৈঠক শেষে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে স্পষ্ট বার্তা, 'এই আন্দোলনে যারা রাজনীতি দেখছেন তারাই আসলে রাজনীতি করছেন।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী খোলা মন নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।' তবে, জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের দাবিতে অটল থাকার পরে, তাঁরা রাজ্য সরকারকে একটি ইমেল পাঠিয়েছেন। এরপর সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব ও মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন হয়। আর বৈঠক শেষে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে স্পষ্ট বার্তা, 'এই আন্দোলনে যারা রাজনীতি দেখছেন তারাই আসলে রাজনীতি করছেন।'
জুনিয়র চিকিৎসকদের শর্ত মানেনি রাজ্য সরকার। মূলত, এই সপ্তাহের সোমবার, আরজি কর মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে হবে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার পরেও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিকে, গতকাল নাবান্নর পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সভায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি ইমেল পাঠানো হয়েছিল।
'স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কিছু কথা খুবই বেদনাদায়ক'
জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথা আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। প্রথমত, তিনি বারবার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরা আগেও বলেছি এবং আবারও বলছি যে এই রাজ্যে ৯৩,০০০ ডাক্তারের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা মাত্র ৭,৫০০। মোট ২৪৫টি সরকারি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ২৬টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে যেখানে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন। এই তথ্য প্রমাণ করে যে, জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘটের কারণে যদি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ে, তার দায় জুনিয়র চিকিৎসকদের নয়। বরং, স্বাস্থ্য বিভাগের অর্থাৎ রাজ্য সরকারের।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা কি এতটাই খারাপ? যে জুনিয়র চিকিৎসকরা ধর্মঘটে গেলে স্বাস্থ্য পরিষেবায় থমকে যাবে! আমরা শুধুমাত্র শিক্ষর্থী, শিক্ষর্থীরা ধর্মঘটে গেলে, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা খারাপ হয়ে যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।