
কসবা: ফের পুলিশি অভিযানে পর্দা ফাঁস জুয়া চক্রের। জানা গিয়েছে, কসবা থানার পুলিশ প্রান্তিক সংঘ ক্লাবে হানা দিয়ে জুয়ার আসর ভেঙে দিল। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যায়, ওই ক্লাবে টাকা দিয়ে তাস খেলার মাধ্যমে জুয়া চলছিল। খবর পাওয়ার পর কসবা থানার এক দল পুলিশ অফিসার অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ২৬ জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে ১ লক্ষ টাকারও বেশি ভারতীয় মুদ্রা এবং অন্যান্য জুয়া খেলার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর কসবা থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬১(২) ধারায় এবং পশ্চিমবঙ্গ গ্যাম্বলিং ও প্রাইজ কম্পিটিশন অ্যাক্টের ৩/৪ ধারায় একটি নির্দিষ্ট মামলা রুজু হয়েছে। ধৃত ২৬ জনকে আজ আদালতে তোলা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই ক্লাবে গোপনে জুয়া চলছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ রোধে ভবিষ্যতেও অভিযান চালানো হবে।
অন্যদিকে, ক্লাস ফাইভের এক নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্তের দোকানে আগুন লাগিয়ে দিলো উত্তেজিত জনতা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা থানার সূর্যাপুর এলাকায়। অভিযুক্তের নাম মনীশ অধিকারী। কসবা কান্ডের ছায়া উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুরে। সূর্যাপুর হাই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মী। ঘটনাটি ঘটে সোমবার বিকেলে। বাড়িতে ফিরে ওই নাবালিকা তার অভিভাবকদের পুরো বিষয়টি জানায়।
মঙ্গলবার ঘটনার প্রতিবাদে মনীষ অধিকারী নামে ওই অস্থায়ী কর্মীর দোকান ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয় গ্রামবাসী। এরপর তারা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনার খবর পেয়ে ডালখোলা থানার পুলিশ ওই অস্থায়ী কর্মী মনীষ অধিকারীকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে ওই অস্থায়ী কর্মী রাজ্যের শাসকদলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কর্মী। শাসক দল পরিচালিত বিদ্যালয়ে পরিচালন সমিতি তাকে অস্থায়ী কর্মী রূপে বিদ্যালয়ে নিয়োগ করে। সোমবার ওই ছাত্রী অফিসে বই আনতে গেলে তাকে জড়িয়ে ধরে মনিশ এবং গোপনাঙ্গে হাত দেয়।
এরপর নাবালিকাকে শাসানো হয় বিষয়টি কাউকে বলা হলে তাকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ওই অস্থায়ী কর্মীকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছি। বিষয়টি সোমবারই শুনেছি। তবে কেন সোমবার এখানে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমরা বিষয়টি পরিচালন সমিতির সবাইকে জানিয়ে তারপর থানায় জানানোর বিষয়টি ভেবেছিলাম। তার আগে জনরোষ দেখা দেয়। তবে ইতিমধ্যে পুলিশ অপরাধীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।