আমফানের ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যতদিন যাচ্ছে, ক্ষোভ যেন ততই বাড়ছে আমজনতার। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এবার ঘেরাও-এর মুখে পড়লেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুরে।
আরও পড়ুন: গেস্ট হাউস 'দখল করে' কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, ঘরের বেহাল দশায় ক্ষুদ্ধ মালিকপক্ষ
দেখতে দেখতে একমাসের বেশি সময় পেরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ঘুর্ণিঝড় আমফানের রেশ রয়েছে গিয়েছে এখনও। ক্ষয়ক্ষতি যা হওয়ার, তা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ বা আর্থিক অনুদান বিলির ক্ষেত্রে কি স্বজনপোষণ চলছে? দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিম বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে ঘেরাও করলেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার সকালে যখন প্রধান প্রাতঃভ্রমণে বেরোন, তখন তাঁকে ঘিরে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। ঘটনার জেরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার করা হয় পঞ্চায়েত প্রধানকে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কারণটা কি? তাঁদের অভিযোগ, ঘুর্ণিঝড় আমফানে এলাকায় যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে, তাঁরা কোনও আর্থিক সাহায্য বা ক্ষতিপূরণ পাননি। অথচ পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নগদ কুড়ি হাজার টাকা করে পেয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়, এমনকী স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাও।
আরও পড়ুন: হুল উৎসবে সিধু-কানহু মূর্তিতে ভাঙচুর, প্রতিবাদে পথে নামলেন আদিবাসীরা
উল্লেখ্য, আমফানে যাঁরা নিরাশ্রয় হয়েছেন, তাঁদের জন্য কুড়ি হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে নামের তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে। আর তা নিয়ে যত গন্ডগোল! কোথাও দুর্নীতি, তো কোথাও আবার স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। দিন কয়েক আগে আমফানের ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ দলের পঞ্চায়েত প্রধান বহিষ্কার করেস তৃণমূল। হাওড়ায় শোকজ করা হয়েছে শাসকদলের ৫ জন নেতাকে।