দুর্গা পুজোই হোক বা লক্ষ্মী, কালী পদ্মের চাহিদা বাজারে থাকে তুঙ্গে। এই সময়ের কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হতে থাকা পদ্মের চাষও বাড়িয়ে তোলা হয়। আশ্বিন মাসের জন্য রাখা হয় কিছু পদ্ম হিম ঘরেও। কিন্তু লকডাউনে ফুলের বাজারও বিস্তর ক্ষতির মুখ দেখে। ফুলের চাষ করা সম্ভব হলেও ট্রেন না চলায় তা বাজারে সময় মত পৌঁচ্ছে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই ফলনও বেশ কম হয়েছে।
যেটুকু পদ্মের ফলন হয়েছিল বা হিম ঘরে রাখা ছিল, তা দুর্গাপুজোর সময়ই শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপর থেকেই ভরসা হচ্ছে ভিন্ন রাজ্য। বাংলা ছাড়াও যে যে রাজ্যে পম্দের চাষ হয়, সেখান থেকে পদ্ম আনার ব্যবস্থা করা হয়। তাই পুজোর জন্য এবার রাজ্যে বিমান পথেই ঢুকে পড়ছে পদ্ম। সেই পদ্মের দামও ফলে হয়ে উঠেছে বেশি। ফুল বিক্রেতারা পুজোর দিন পদ্ম পিছু দাম রাখলেন ২০ থেকে ৩০ টাকা।
যদিও সকাল বেলাতেই বিপুল পদ্মের চাহিদা থাকায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা শেষ হয়ে আসে। এবার হাতে গোনা পদ্মের দাম তাই আরও বাড়তে থাকে। ট্রেন বন্ধ থাকার ফলেই পদ্মের এই আকাল বাজারে লক্ষ করা যায়। নয়তো অন্যান্য বছর বর্ষার সময় ভালোই পদ্মের ফলন হয়। তখন থেকেই পদ্ম পুজোর কথা মাথায় রেখে মজুত করা হয়ে থাকে। এবার তা সম্ভপর হয়নি। কিন্তু পদ্ম ছাড়া তো আর পুজো চলে না, তাই চড়া দামেই ঘরে ঢুকছে ভিন্ন রাজ্যের পদ্ম।