ফেসবুকে আলাপ,এরপরে প্রেম।একাধিকবার সহবাস। কিন্তু তারই ভয়ঙ্কর পরিণতি সাক্ষী থাকল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর। ছেলেটি সহবাসের পর মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে।
ফেসবুকে আলাপ,এরপরে প্রেম।একাধিকবার সহবাস। কিন্তু তারই ভয়ঙ্কর পরিণতি সাক্ষী থাকল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর। ছেলেটি সহবাসের পর মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে। বিয়ে করতে রাজি হয়নি। অথচ মেয়েটি বিয়ের জেদে অনড়। আর সেই কারণেই প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছে প্রেমিকা।
স্মার্টফোনে একাধিক প্রমাণপত্র নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে দরবার শুরু করেছে তরুণী। শুরু করেছে ধর্না। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিপুরা গ্রামে। যা নিয়ে সরগরম রানিপুরা গ্রাম। জানা যায়,রানিপুরা গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ হোসেনের ছেলে মহম্মদ নিহাল পারভেজ এর সঙ্গে দীর্ঘ তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ওই যুবতীর। এতদিন ধরে একসাথে সময় কাটানো,পার্কে ঘুরতে যাওয়া,রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া সবই করেছে তারা। সিনেমা জগতের নায়ক নায়িকার মত হাতে হাত রেখে জীবন সঙ্গিনী করার শর্ও দিয়েছিল তরুণটি। এদিন সব ঠিক ঠাকই ছিল। তলে তলে অন্যত্র বিয়ের ঠিক করেছিল তরুণ। আর প্রেমিকের মনের কথা প্রেমিকা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি।
তরুণী আরও জানিয়েছেন, সে একাধিকবার প্রেমিককে বিয়ের জন্য তাগাদা দিয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকবারই পাশ কাটিয়ে গেছে প্রেমিকা। তবে এখন ছেলে সরাসরি বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। সম্পর্ক রাখতেও চাইছে না। তাই বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে এদিন ধর্নায় বসে তরুণী।
ধর্নায় বসা মেয়েটি জানান,দীর্ঘ তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিহাল পারভেজ এর সঙ্গে তার পরিচয় হয়।একপর্যাযে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন বলে দাবি যুবতীর।পরে বিয়ের কথা বললে ওই যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন নিহাল।তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছেলের পরিবার সবকিছুই জানত। এখন সবাই অস্বিকার করছে। এজন্য বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন যুবতী।
প্রেমিক নিহাল পারভেজ এর বাবা নাহিদ হোসেন জানান, তাদের প্রেমের সম্পর্ক তিনি কিছুই জানেন না। তার ছেলে নাবালক। নাবালক ছেলেকে তিনি বিয়ে দিতে পারেন না।এর পূর্বেও মেয়েটি বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে এসেছিল এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় তাদের নামে মামলা করে। কোর্ট থেকে জামিন নিতে হয়। ছেলে বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছে। মেয়ের সঙ্গে ছেলের আর কোনো কথা নেই। মিথ্যা দাবি করে ধর্নায় বসেছে যুবতী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।যুবতী ও ছেলের বাবাকে থানায় নিয়ে বলে খবর।