যশ পরবর্তী দুর্যোগ সারা রাজ্যে থেমে গেলেও মালদাতে যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না। প্রায় টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টি হয়ে চলেছে জেলাতে। শনিবার আবহাওয়া কিছুটা পরিষ্কার হলেও রবিবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়। বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি। তারই মাঝে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন, 'এতো কাছে রয়েছো তুমি', SSKM থেকে ছাড়া পেয়েই গান ধরলেন মদন মিত্র
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হল দুজনের। গুরুতর আহত এক জন। মৃত দুজনের মধ্যে এক জনের নাম কৌশিক দাস(১৬),বাড়ি পিপলা। অন্য আরেক জনের নাম নুরুল খান(৪৫),বাড়ি সুলতাননগর গ্রামে। আহত ব্যক্তির নাম দীপক দাস(৪২)। তারও বাড়ি পিপলা গ্রামে। এই মুহূর্তে সে গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে।পিপলা গ্রামের বাসিন্দা দ্বৈপায়ন বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন,' ওরা দুজন আমবাগানে ছিল। দুজনের ওপরেই বাজ পড়ে। কৌশিকের সেখানেই মৃত্যু হয়। এবার মাধ্যমিক দিত সে। খুব খারাপ লাগছে। দীপককে এই মুহূর্তে চাঁচল রেফার করা হয়েছে। যদিও তার অবস্থাও সংকটজনক।'
আরও পড়ুন, আজই বুকের এক্স-রে হবে বুদ্ধদেবের, 'শুকনো কাশি' হওয়ার চিন্তায় চিকিৎসকেরা
অপরদিকে মৃত নুরুল খানের আত্মীয় আরিফ বলেন, বৃষ্টি পড়ছিল। সেই সময় একটু রাস্তায় বেরিয়ে ছিল। হঠাৎ করেই বাজ পড়ে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এখনো পর্যন্ত শুনলাম আজ বাজ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।"একেই করোনা পরিস্থিতিতে স্তব্ধ জনজীবন। তার উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগে এইভাবে মানুষের মৃত্যু। যা প্রচন্ড দুঃখ জনক। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের লোকেরা। খবর পেয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান। পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।