এবারের মাধ্যমিকে সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের মহম্মদপুর দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের সেই সৌগত দাস জানালো, রাত জেগে না পড়লেও সারাদিনে সে দশ থেকে বারো ঘণ্টা পড়াশোনা করত। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় সে।
হবু পরীক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিকের প্রথম স্থানাধিকারীর পরামর্শ, "প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। সব চ্যাপ্টার সম্পর্কেই স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে, যাতে যে কোনও জায়গা থেকে প্রশ্ন এলে উত্তর দেওয়া যায়।"
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাসিন্দা সৌগত জানিয়েছে, ভবিষ্যতে সে চিকিৎসক হতে চায়। সেই জন্য ইতিমধ্যেই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। এ দিন সকালে টিভি-তেই প্রথম খবরটা পায় সৌগত এবং তার বাবা-মা। এর পর থেকেই বাড়িতে পাড়া, প্রতিবেশী, বন্ধু, শিক্ষকদের ভিড়। কিছু্ক্ষণের মধ্যে ভিড় জমে যায় সাংবাদিকদেরও। প্রত্যেকেই চান সৌগতর সঙ্গে দেখা করতে, কথা বলতে। ততক্ষণে আত্মীয়স্বজন, পরিচিতদের একের পর এক ফোনও আসতে শুরু করেছে সৌগতর বাড়িতে। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার শুভেচ্ছা জানালেন সবাই। অনেকেই শুভেচ্ছা জানানোর জন্য হাতে করে ফুল এবং মিষ্টিও নিয়ে আসেন সৌগতর জন্য। সৌগত জানিয়েছে, বাবা-মা, দাদা এবং শিক্ষকদের সহযোগিতাতেই এই সাফল্য পেয়েছে সে।
সৌগতর বাবা নিজে পেশায় একজন শিক্ষক। তাঁর বিষয় অঙ্ক। ফলে অঙ্কে সৌগতর ফুল মার্কস দেখে আশ্চর্য নন তার পরিচিতরাও। বরাবরই পড়াশোনাই সৌগতর জগৎ। খেলাধুলোয় সেরকম আগ্রহ কোনওদিনই ছিল না। সৌগতর বাবা-মা স্বীকার করে নিলেন, ছেলের ভাল ফলের বিষয়ে আশাবাদী হলেও সে যে প্রথম হয়ে চমকে দেবে, তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি।
মোট ৬৯৪ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে সৌগত। সাতটি বিষয় মিলিয়ে কাটা গিয়েছে ৬ নম্বর। তার মধ্যে একটি বাদে বাকি সব বিষয়েই হয় একশো, নয় ৯৯ নম্বর করে পেয়েছে সৌগত। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছে সৌগত-
ইংরেজি-৯৯ বাংলা- ৯৭, অঙ্ক- ১০০, ভৌত বিজ্ঞান- ১০০, জীবন বিজ্ঞান-৯৯, ভূগোল- ১০০ এবং ইতিহাস- ৯৯।