সিঙ্গুরে সরকারের ফিরিয়ে দেওয়া জমিতে অনেক কৃষকই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কিন্তু যাঁরা এখনও চাষ করতে আগ্রহী, তাঁদেরকে সরকার সবরকম সাহায্য করবে বলে এ দিন বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিঙ্গুরের জমি নিয়ে একটি প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় জানান, সিঙ্গুরের জমিক চাষযোগ্য করতে সবররকম চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। সেখানে সয়েল টেস্টও করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ যদি চাষ করতে ইচ্ছুক না হন, তাহলে সরকারের কিছু করণীয় নেই বলে জানিয়ে দেন মমতা।
আরও পড়ুন- রাজ্যে চাকরি! ৩৩,৬৮৭টি শূন্যপদে নিয়োগ করবে সরকার
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৭ সালে সিঙ্গুরের যে অনিচ্ছুক জমিদাতারা জমি ফেরত পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই এখন আর ওই জমিতে চাষ করতে পারছেন না। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, কারখানার পরিকাঠামো করতে গিয়ে জমি আর চাষযোগ্য নেই। ফলে ফের সিঙ্গুরে শিল্পের দাবি জোরালো হয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী সিঙুর বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল। যা তৃণমূল নেতৃত্বের চিন্তা অনেকটাই বাড়িয়েছে।
এ দিন সিপিএম বিধায়ক এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী সিঙ্গুরের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হয়েছে কি না, তা সরকারের কাছে জানতে চান। সরকারের তরফে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, সিঙ্গুরে ধান, গম, ভুট্টার মতো ফসল উৎপাদন হচ্ছে। কোনও জমি নষ্ট হয়নি বলেও দাবি করেন কৃষিমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ দিন জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের বিয়াল্লিশ একার জমির এখনও কোনও মালিককেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই জমির মালিক কারা, তা খুঁজে বের করার জন্য তিনি ভূমি রাজস্ব দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও দাবি করেন মমতা। এভাবে জমি ফেলে রাখা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিঙ্গুরে শিল্প ফেরানোর দাবিতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সংসদেও সরব হয়েছেন তিনি।