নির্বাচনে হুগলি জেলায় খারাপ ফল নিয়ে তৃণমূ ভবনে পর্যালোচনা বৈঠক করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার হুগলি জেলায় লোকসভা ভোটে ফল ভাল হয়নি তৃণমূলের। শ্রীরামপুর কেন্দ্রে জিতলেও হুগলি কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। আরামবাগ কেন্দ্রে কোনওক্রমে জয় পেয়েছেন দলীয় প্রার্থী। যে সিঙ্গুর আন্দোলন মমতাকে ক্ষমতায় বসাতে সাহায্য করেছিল, সেখানেও বিধানসভার নিরিখে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল।
এ দিন পর্যালোচনা বৈঠকের পরে মমতা জানান, এবার থেকে বিভিন্ন জেলা নিয়ে একে একে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তিনি। আগামী ২১ তারিখ নদিয়া জেলা নিয়ে তৃণমূল ভবনেই বৈঠক করবেন তিনি। তবে বীজপুরে গিয়ে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তিনি। এর থেকেই পরিষ্কার মুকুল রায়ের নিজের গড়ে গিয়েই বার্তা দিতে চাইছেন তিনি।
এর পাশাপাশি ফের একবার দলীয় নেতাদের জনসংযোগ বাড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মমতা। আগামী ২১ জুন থেকে রাজ্যে তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রা শুরু হবে। চলবে ১৮ জুলাই পর্যন্ত। চন্দ্রকোণা থেকে আরামবাগ পর্যন্ত জনসংযোগ যাত্রা দিয়ে শুরু হবে এই কর্মসূচি। তার নেতৃত্ব দেবেন সুব্রত বক্সি।
যে নেতাদের যে জেলায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সেখানে গিয়ে জনসংযোগ মিছিল করবেন। হুগলি জেলায় যাবেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উত্তরবঙ্গে এই দায়িত্বে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। জঙ্গলমহলে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিককারীকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ দিনও মমতা দাবি করেছেন, লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে কারসাজি করা হয়েছে। ভোট কিনতে টাকা ছড়ানোর অভিযোগেও ফের সরব হয়েছেন মমতা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বিজয় মিছিল বন্ধ করার জন্য মমতার নির্দেশ তিনি মানবেন না। পাল্টা মমতা জানান, নির্দেশ না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর শুধু দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বা দলীয় বিধায়ক, মন্ত্রীদের সঙ্গে নয়, সরাসরি মানুষের সঙ্গে যাঁদের বেশি যোগাযোগ, সেই স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে ও বৈঠক করছেন মমতা। বিজেপি উত্থান রুখ ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আপাতত নিজেই কড়া হাতে দলের সংগঠন মেরামতিতে নেমেছেন তৃণমূল নেত্রী।