'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। কিন্তু কীভাবে আমজনতার সঙ্গে জনসংযোগ গড়ে তুলতে হয়, দলের নেতাদের যেন তা হাতেকলমে শিখিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর সফরে এসে হঠাৎই বিকেলের দিকে তিনি চলে যান রামনগরের স্থানীয় একটি গ্রামে। সেখানেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে গল্প করে প্রায় ঘণ্টাখানেক কাটিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশুদের হাতে তুলে দিলেন চকোলেট।
হাওড়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠক সেরে সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ হেলিকপ্টারে দিঘা পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবনির্মিত সার্কিট হাউজে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই পৌঁছেই কিছুক্ষণের মধ্যে বেরিয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। গাড়ি নিয়ে সোজা চলে যান দু' কিলোমিটার দূরের রামনগরের এক নম্বর ব্লকের পূর্ব মুকুন্দপুর গ্রামে। ওই গ্রামে মূলত স্থানীয় মৎস্যজীবীদেরই বাস। মুখ্যমন্ত্রীর হঠাৎ আগমণে হকচকিয়ে যান গ্রামবাসীরাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য তাঁদের সেই জড়তা কেটে যায়। গ্রামের মাঝখানেই প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি।
আরও পড়ুন- কাউন্সিলর কোথায়, খোঁজ নিয়ে মমতা শুনলেন জেলে
আরও পড়ুন- শিক্ষকদের পাশে অপর্ণা সেন, পত্রাঘাত মুখ্যমন্ত্রীকে
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকেই তাঁদের সুবিধা, অসুবিধার কথা জেনে নেন মমতা। কাছে ডেকে নেন গ্রামের কচিকাচাদের। এর পরে তাদের হাতে চকোলেট তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামে বসেই কম চিনি দিয়ে লাল চাও খান তিনি। সবমিলিয়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ওই গ্রামে কাটান মুখ্যমন্ত্রী। গ্রাম থেকে বেরনোর সময় একটি মাটির বাড়ি চোখে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সঙ্গে সঙ্গে সেই বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জেলাশাসক পার্থ ঘোষকে নির্দেশ দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন ওই বাড়িটি পাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। প্রশাসনিক বৈঠকও করার কথা তাঁর।
প্রসঙ্গত সোমবার সকালেই হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে যাওয়ার আগে আচমকা একটি বস্তি পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কেন পর্যাপ্ত শৌচাগার নেই, পরে তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।