প্রবল ঘুর্ণিঝড়ের দাপট। ঝড়ের মুখে একের পর এক উপকূলবর্তী এলাকা প্লাবিত। যশের জেরে নাজেহাল সাধারণ মানুষের জীবন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘুর্ণিঝড়ের ওপর নজর রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি থেকেও যাবেন নবান্নতে। বুধবার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আছড়ে পড়ে যশ। ঝড়ের কেন্দ্র ভুমিভাগে ঢোকার আগেই তা তান্ডব চালাতে শুরু করে। একের পর এক এলাকা প্লাবিত হতে থাকে। এরপর ৯.১৫ মিনিট থেকে ঝড়ের ভয়ানক দাপটের সাক্ষী থেকেছে বাংলা।
মুখ্যমন্ত্রী কথায় এখনও দুর্যোগ কাটেনি। পুর্নিমার জেরে ভরা কোটালে জেরে রাত আটটার পর আবারও প্লাবনের আশঙ্কার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে যে সকল এলাকা ভেসে গিয়েছে, সেখানে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে জল থেকে বিপদের সম্ভাবনা প্রবল থেকে যায়। তাই সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, নিজেরাই যেন বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখেন।
বৃহস্পতিবারও প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে পাওয়া খবর অনুযায়ী এক কোটি মানুষের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দিঘাসহ বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শণে যাবেন বলেই জানিয়েছেন। শুক্রবার নিজে এলাকা পরিদর্শণ করবেন তিনি। এখনই সঠিক করে বলা যাচ্ছে না ক্ষয় ক্ষতির মোট সঠিক পরিমাণ কত। তবে প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর, চলছে উদ্ধার কাজও।