নিখোঁজ নন, বরং পারিবারিক অশান্তির কারণেই দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন স্ত্রী। প্রিয়জনদের ফিরে পেতে বর্ধমান শহর-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নাম ও ছবি-সহ পোস্টার লাগিয়েছেন এক যুবক। কিন্তু এখন পোস্টার লাগালে কী হবে! স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই যুবক নাকি স্ত্রীর উপর রীতিমতো অত্যাচার করতেন। এমনকী, তাঁকে মারধরও করা হত।
ষোলো বছরের দাম্পত্য জীবন। স্ত্রী নমিতা ও দুই মেয়েকে নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ইটলা গ্রামে থাকতেন কিংকর মালিক। পেশায় তিনি ফেরিওয়ালা। সাইকেল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে লজেন্স, বিস্কুট, চানাচুর-সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করেন কিংকর। তাঁর বড় মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে, ছোট মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। কিংকর মালিকের দাবি, পারিবারিক অশান্তির কারণে গত ৩০ অক্টোবর দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে তাঁর স্ত্রী। বহু চেষ্টা করেও তাঁদের আর কোনও সন্ধান পাননি। এদিকে স্ত্রী আর মেয়েদের ছেড়ে থাকতেও পারছেন না! অগত্যা বর্ধমান শহর-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে স্ত্রী ও দুই মেয়ের ছবি সম্বলিত পোস্টার লাগিয়েছেন কিংকর। পোস্টারে নিজের ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরিবারের লোকেদের সন্ধান মেলেনি। বর্ধমানের ওই ফেরিওয়ালার বক্তব্য, ওদের ছাড়া থাকতে পারব না। রাগ করে এভাবে বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে আমি কীকরে বাঁচব। ফোনেও পাচ্ছি না। তাই পোস্টার দিয়ে ওদের সন্ধান পেতে চাইছি।'
কী বলছেন কিংকর মালিকের স্ত্রী নমিতা? বহু চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রতিবেশীদের দাবি, নমিতা যখন বাড়িতে ছিলেন, তখন তাঁকে প্রতিদিন মারধর করতেন কিংকর। বস্তুত, স্বামীর অত্যাচার সহ্য় করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। কিংকরের সঙ্গে আর থাকতে চান না তিনি, বিবাহবিচ্ছেদ চান। তাই নিজের ইচ্ছাতেই মেয়েদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন নমিতা। এখন বিভিন্ন এলাকার পোস্টার মেরে স্ত্রী মন পেতে চাইছেন কিংকর। সত্যিই কি স্ত্রীকে মারধর করতেন? অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কিংকর মালিক।