শীতের শুরু হতে না হতেই বাজতে শুরু করেছে সানাই। করোনা আবহ কিছুটা কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ে। অনেকেই বিয়ে সাড়ছেন এখন। লকডাউনে যারা বিয়ে করবে বলে ভেবেও বিয়ে করতে পারেনি তারাও এখন তাদের বিয়েটা সেড়ে ছেলছেন। আর সেই সঙ্গেই শুরু হয়েছে গণবিবাহ। প্রতি বছরের মত এবছরও শুরু হয়ে গিয়ছে গণবিবাহ। আর তেমনই গণবিবাহ দেখা গেল বনগাঁতে। সেখানে একসঙ্গে বিয়ে হল ১২ জন কন্যার। তবে সেখানকার বিয়ে ছিল অন্যান্য বিয়ের তুলনায় কিছুটা হলেও আলাদা। একই বিয়ের আসরে ১২ জন দৃষ্টিহীন কন্যা। সাত পাকে বাঁধা পড়লেন এক সঙ্গে সকলে।
মঙ্গলবার বিকাল থেকেই সানাইয়ের সুর আর জমকালো আলোতে সেজে উঠেছিল বনগাঁর সোনালী ক্লাবের মাঠ৷ রীতিমতন জমজমাটি আয়োজন। সেই সঙ্গেই ছিল সুসজ্জিত মঞ্চ আর সানাইয়ের সুর। বিয়ের মণ্ডপ মাঠের একধার দিয়ে। আর সেখানেই গাঁটছড়া বাঁধলেন ১২ জন কন্যা। সেই ১২ জনই ছিলেন দৃষ্টিহীন। তবে বিয়ের সমস্ত নিয়ম আর বিধি মেনেই তাদের সবার বিবাহ সম্পন্ন হয় সেখানে। এই অভিনব অনুষ্ঠানে সমিল ছিলেন অনেকেই। অনেকে আবার নবদম্পতিদের উপহার দিয়েও তাদের দাম্পত্য জীবনের শুভ কামনা জানালেন সেখানে।
এছাড়াও বিয়ের আসরকে কেন্দ্র করে সেখানে চলে নানান অনুষ্ঠানও। সাঁওতাল নাচ হতেও দেখা যায় সেখানে। এই সমস্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সেখানকার একটি সংস্থা। তবে তাদের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে সকলের। তাদের এই উদ্যোগে খুশি সেখানকার মানুষরাও। অন্যদিকে নতুন জীবন শুরু করতে পেরে খুশি নব বিবাহিত দম্পতিরাও। হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখে।