দিল্লির আনাজ মান্ডির মতোই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল হাওড়ার বাগনানে। ভোররাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ২০টি দোকান। দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে দোকানগুলিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তেমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান বাগনানের বিধায়ক অরুনাভ সেন ও বাগনান-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন দাস । পঞ্চায়েত সমিতি পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানমালিকের জন্য ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কারা আগুন লাগাল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেআইনি বালির খাদানে আচমকা জেলা শাসক, বিপদ দেখে পালালো গাড়ির চালক
ঘড়িতে তখন রাত তিনটে। বাগনানের লাইব্রেরি মোড়ে রাস্তাঘাট সুনসান, গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সকলেই। পোড়া গন্ধ পেয়ে যখন ঘুম ভাঙে স্থানীয় বাসিন্দাদের, তখন রাস্তার পাশে দাউদাউ করে জ্বলছে ২০ দোকান! প্রথমে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্ত তাতে কোনও লাভ হয়নি। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিন্তু দমকলের ইঞ্জিনে পৌঁছানোর আগে ভষ্মীভুত হয়ে যায় সবকটি দোকানই। দোকান মালিকদের দাবি, আগুনে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বাগনান থানার এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বাগনানের লাইব্রেরি মোড়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় আগুনও জ্বালানো হয়। কিন্তু শনিবার ভোর রাতে দোকানে কীভাবে আগুন লাগল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা কিন্তু বলছেন, ভোরে তিনটে নাগাদ দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চম্পট দেয় তারা। দোষীদের কড়া শাস্তি দাবি তুলেছেন সকলেই। দিন কয়েক আগে ভোররাতেই দিল্লিতের রানি ঝাঁসি রোডের একটি আনাজ মান্ডিকে আগুন লেগে গিয়েছিল। ঘটনার সময়ে বেশিরভাগ শ্রমিকই ঘুমিয়ে ছিলেন। বিষাক্ত ধোঁয়া দমবন্ধ হয়ে মারা যান ৪৩ জন।