সংক্ষিপ্ত

  • বেআইনি বালি খাদানের বিরুদ্ধে  ব্য়বস্থা নিলেন খোদ জেলাশাসক
  • হাতেনাতে ধরতে একেবারে খাদানে হানা দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী
  • শুক্রবার রাতে  প্রশাসনের এই অভিযানে বিপদ বাড়ল অবৈধ বালি উত্তোলনকারীদের
  • ইতিমধ্য়েই আটক করা হয়েছে বহু বালি ভর্তি গাড়ি

বেআইনি বালি খাদানের বিরুদ্ধে  ব্য়বস্থা নিলেন খোদ জেলাশাসক। হাতেনাতে ধরতে একেবারে খাদানে হানা দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী। শুক্রবার রাতে  প্রশাসনের এই অভিযানে বিপাকে পড়ে গেল অবৈধ বালি খাদানের সঙ্গে যুক্ত লোকজন। 

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ, শিয়ালদা শাখায় বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচল

অভিযোগ আসছিল বহুদিন ধরে। হাতনাতে অবৈধ বালিচক্রকে ধরতে ওত পেতে ছিল প্রশাসনের লোকজন। অবশেষে শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে আর দেরি করেননি পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী। একেবারে গলসী এলাকার শিল্ল্যা বালি খাদানে হাজির হন তিনি। পরে সেখান থেকে ফেরার পথে সটান পারাজ মোড়ে। 

মুখ্যমন্ত্রীর ভাইকে অপহরণ, ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি

সেখানেই জেলা শাসকের নজরে আসে আসল কীর্তি। বিজয় ভারতী দেখতে পান,সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওভারলোডিং বালি ও পাথরের গাড়ি। এরপরই পরিবহণ দফতর অফিসারকে ফোনে ডেকে নেন তিনি। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গলসি থানার পুলিশ । পুলিশ ও প্রশাসনের লোকদের  দেখেই গাড়ির চালক ও খালাসীরা চম্পট দেয়।  পরে এলাকা থেকে প্রায় ১৭টি ওভারলোডিং গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

দেখা যায়,  ভুয়ো নাম্বার প্লেট বসিয়ে চলছে এই বেআইনি কারবার। নাম্বার প্লেটের উপরে কোনওটায় স্টিকার লাগানো, কোনওটায় বা কালি দিয়ে নাম্বার পরিবর্তন করা হয়েছে। মূলত, পুলিশের নজর এড়ানোর জন্যই এই ব্য়বস্থা করা হয়েছিল। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে। শুক্রবারের এই অভিযান থেকে প্রায় ৭থেকে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় হবে বলে জানিয়েছেন বিজয় ভারতী।