মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ডে ঘটনাস্থলে চার সদস্যের ফরেনসিক দল। ঘটনাস্থলে আতস কাঁচ, মাটি, রক্তের নমুনা সংগ্রহ করলেন ফরেনসিক সদস্যরা।
মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ডে ঘটনাস্থলে চার সদস্যের ফরেনসিক দল। ঘটনাস্থলে আতস কাঁচ, মাটি, রক্তের নমুনা সংগ্রহ করলেন ফরেনসিক সদস্যরা। ভিডিও ফটোগ্রাফিও করে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখল অভিজিৎ মন্ডলের নেতৃত্বে চার প্রতিনিধি দল।
প্রায় একঘন্টা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন ওই প্রতিনিধি সদস্যের দল
ধর্ষণ কাণ্ডে কলকাতা থেকে ফরেনসিক আধিকারিক অভিজিৎ মন্ডলের নেতৃত্বে চার প্রতিনিধি দল প্রথমে মাটিয়া আসেন। সেখানে থেকে পুলিশ আধিকারিক অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র তাপস ঘোষ-এর নেতৃত্বে বিবেক নগর কলুতলা ঘটনাস্থলে যান।সেখানে গিয়ে প্রায় একঘন্টা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন ওই প্রতিনিধি সদস্যের দল। প্রথমে পুরো এলাকাটাকে চিহ্নিত করেন তাঁরা। এরপর নিজেরা তারপর সেখানে একদিকে আতস কাঁচ দিয়ে রক্তের নমুনা ও মাটি খুঁজে বের করে সেগুলো সংগ্রহ করেন।পাশাপাশি একটি ভিডিওগ্রাফি করেন। কারণ অনেক সময়েই খালি চোখে যা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধরা পড়ে না। পরে তা ঠান্ডা মাথায় ক্যামেরায় তোলা স্টিল ছবিতে ধরা পড়ে। তাই এক্ষেত্রেও সেই ছবি নিঁখুতভাবে তুলে নিতে বাকি রাখেননি।
'একটা মেয়ে হয়ে কীভাবে একটা ছোট শিশুর নির্যাতনের ঘটনা পরিকল্পনা করল'
পাশাপাশি নির্যাতিতা গ্রাম নেহালপুর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন, 'এদিন এই ঘটনার মূল পান্ডা পিসি রোজিনা বিবি যে এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার বোন কাঁদতে কাঁদতে বলেন যে অন্যায় করেছে ধরা পড়েছে। একটা মেয়ে হয়ে কীভাবে একটা ছোট শিশুর নির্যাতনের ঘটনা পরিকল্পনা করলো। তবে এই নৃশংস ঘটনায় সত্যিই সবাই কেঁপে উঠেছে। এই ধরনের ঘটনা যেন আর কোনওদিন কেউ যাতে না ঘটাতে পারে, দিদির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির' দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে এই ধর্ষণকাণ্ড রাজ্য দেশ তোলপাড় হয়েছে। মুখ খুলেছে রাজ্য়ের বিরোধীরা।
হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের
সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি তারা এই ঘটনা রাজ্য সরকারের এক হাত নিয়ে সরব হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। প্রসঙ্গত, উপনির্বাচনের আগে একের পর এক হিংসার ঘটনায় কার্যত উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। একদিকে ছাত্র নেতা আনিস খান খুন, দুই কাউন্সিলর খুন এবং রামপুরহাটে বগটুই হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই বিতর্ক মোড় নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্য়ে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল। যদিও তারপরেও বিতর্ক থেমে থাকেনি। বরং রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও বড় মোড় নিয়েছে। মাটিয়া কাণ্ডের প্রেমিক ও নির্যাতিতার পিসিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ বসিরহাট মহকুমা আদালত ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে আদালতে বিচারাধীন, ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। তার তত্ত্বাবধানে বিচার ব্যবস্থা হবে।