রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আক্রমণের নিশানায় ফের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে না থাকায় মমতার কড়া সমালোচনা করলেন ধনকড়। মঙ্গলবার ট্যুইট করে এদিন মমতাকে একহাত নেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না করে এক কালো দিনের সূচনা করেছেন মমতা। ২৮শে মে দেশের সাংবিধানিক ইতিহাসে এক কালো দিন। কারণ সেদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক কাঠামোকে অগ্রাহ্য করেছিলেন।
ধনকড় এদিন একাধিক ট্যুইট করেন। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অহংকার বাংলার সর্বনাশ করছে। তাঁর ইগো, মানুষের স্বার্থের থেকেও বড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে যে সাংবাদিক বৈঠক করে বিবৃতি দেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল। ২৭শে মে মমতা প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন ফোনে। তিনি বলেন তাঁর কিছু বলার রয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার পরেই আবার তিনি জানান, যেহেতু ওই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন, তাই তিনি বৈঠক বয়কট করলেন।
মমতার এই আচরণের কড়া নিন্দা করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না করে রাজ্যের মানুষকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত হয়েছে। রাজ্যে আইনের শাসন ফের একবার প্রশ্নের মুখে রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ধনকড়।
এদিকে, মমতার এই আচরণের কড়া নিন্দা করেন বিভিন্ন বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। শিবরাজ সিং চৌহান থেকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা-প্রত্যেকের বার্তায় মমতার বিরুদ্ধে বক্তব্য ফুটে ওঠে। এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যোগ না দিয়ে, তাঁকে শুধু বাংলার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ধরিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে অভিযোগ। এদিকে,নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। এদিন তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের যে কথা বারবার বলা হচ্ছে, আদপে সেরকম কোনও বৈঠকই ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। তার পরেও বাংলার ওপরে দোষ চাপানো হচ্ছে। এদিন মমতা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করেছেন তাঁরা।